নিউজ ডেস্ক :: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এবারের ভোট গণতন্ত্রের মুক্তি, দেশের স্বাধীনতা রক্ষা ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার। এবারের নির্বাচন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। বিএনপি গণতন্ত্র রক্ষার জন্য লড়াই করছে। এবারের ভোট নির্ধারণ করবে দেশে একদলীয় শাসন থাকবে নাকি পরিবর্তন ঘটবে?
আজ বুধবার বিকেলে বগুড়া সদর উপজেলার বাঘোপাড়া শহীদ দানেশ উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার জুলুমবাজ ও নির্যাতনকারী। এরই ধারাবাহিকতায় বিনা অপরাধে খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রেখেছে। আর এই জুলুমবাজ সরকারের পরিবর্তন ঘটাতে হবে।
নির্বাচনী জনসভায় মির্জা ফখরুল বলেন, ৩০ ডিসেম্বর ভোটের মধ্য দিয়ে দেশের গণতন্ত্রের মুক্তি হবে, দেশে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হবে। সেদিন দলে দলে সবাইকে ভোটকেন্দ্রে যেতে হবে। ভোট দিতে হবে। ভোট গণনা শেষে তবেই বাড়ি ফিরতে হবে।
তিনি বলেন, সরকার নির্বাচন বানচালে সবধরনের চেষ্টা এবং মিথ্যাচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত ও নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার-নির্যাতন করছে। এই সরকার আপনাদের প্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে মারতে চায়।
তিনি আরো বলেন, সারাদেশের মানুষের একটি আকাঙ্ক্ষা তারা আওয়ামী লীগকে সরাতে চায়, পরিবর্তন চায়। এ জন্য সবাইকে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে পাহারা দিতে হবে। অত্যাচার নির্যাতন যতই হোক আমরা নির্বাচনে শেষ দিন পর্যন্ত লড়ে যাব।
নির্বাচনী জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও বগুড়া ২ (শিবগঞ্জ) আসনের ধানের শীষের প্রার্থী মাহমুদুর রহমান মান্না।
এ ছাড়াও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বগুড়া ৬ (সদর) আসনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট এ কে এম মাহবুবর রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
পাঠকের মতামত: