নিজস্ব প্রতিবেদক :: লোহাগাড়ায় রয়েছে ৫০টি ইটভাটা। এসব ইটভাটা চলছে অবৈধভাবে। গত শুকনা মৌসুমে ইট উৎপাদন হয়েছে ৪০ ভাটায়। এসব ইটভাটাগুলোর মধ্যে উপজেলা চরম্বা ইউনিয়নেই রয়েছে ২১টি। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র এসব তথ্য জানায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে উপজেলায় নিবন্ধিত ইটভাটা রয়েছে ৪টি। এরমধ্যে উপজেলা সদর ইউনিয়নে ১টি, কলাউজানে ২টি ও আধুনগর ইউনিয়নে ১টি বলে জানা যায়। এলাকার অভিজ্ঞমহলের মতে নিয়ম নীতি উপেক্ষা করেই কৃষি জমি, বনাঞ্চল ও বসতভিটার অদুরে গড়ে তোলা হয়েছে এসব ইটভাটা। এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশেও স্থাপন করা হয়েছে ইটভাটা। প্রতি শুকনো মৌসুমের শুরুতেই ইটভাটাসমূহে উৎপাদন আরম্ভ করা হয়। ইট উৎপাদনের জন্য কাচামাল হিসাবে ব্যবহার করা হয় ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি। জ্বালানি হিসাবে ব্যবহরা করা হয় বনাঞ্চলের কাঠ। তবে ইটভাটার সামনে কিছু পরিমাণ কয়লা স্তুপ করে রাখা হয়, যা লোক দেখানো। কৃষি জমির উপরিভাগের মাটি ও কাঠ ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিধি নিষেধে কোন তোয়াক্কা করে না ভাটা কর্তৃপক্ষ। ফলে এলাকার পরিবেশ দূষণ ও জনস্বাস্থ্যর চরম ক্ষতিকর বলে জানান ভূক্তভোগীরা।
লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা ইউনিয়নে ২১টি ইটভাটা রয়েছে। প্রায়সব ভাটায় ইট উৎপাদন হয় বলে অভিজ্ঞ মহল জানায়। পাহাড় টিলা বেষ্টিত এ চরম্বা ইউনিয়ন পার্বত্য বান্দরবান জেলা সীমানায়। চরম্বা ইউনিয়নে রয়েছে বিপুল বনভূমি। ইটভাটা ধোঁয়ার কারনে ব্যাপক ক্ষতি হয় মৌসুমী ফসলের। ক্ষতির শিকার হচ্ছে পশু-পাখিরাও। চরম্বা ইউনিয়নের কালোয়ার পাড়ার উত্তর পাশে বনাঞ্চলের নিকট গড়ে তোলা হয়েছে ইটভাটা।
স্থানীয় লোকজন কর্তৃক এব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে লিখিত অভিযোগ করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। প্রতি শুকনা মৌসুমের ন্যায় এবারও উপজেলার ইটভাটাগুলোতে উৎপাদনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন মালিক পক্ষ। প্রাথমিক কাজ ইতোমধ্যেই শুরু করা হয়েছে। সচেতনমহলের মতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করেই ইটভাটাসমূহের উৎপাদন শুরু করা হয়।
পাঠকের মতামত: