চলতি মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে প্রতি কেজি ৩৩ টাকা দরে তিন লাখ মেট্রিকটন আমন চাল সংগ্রহ করবে সরকার। আগামী ১ ডিসেম্বর শুরু হয়ে আমন সংগ্রহ কর্মসূচি চলবে ১৫ মার্চ পর্যন্ত। সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আজ রবিবার খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির (এফপিএমসি) সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। সরকার আমনে গত বছর ৩১ টাকা দরে দুই লাখ টন চাল সংগ্রহ করেছিল। তখন উৎপাদন খরচ প্রতি কেজি ধানে হয়েছিল ১৮ টাকা ৫০ পয়সা ও চালে ২৮ টাকা ৫০ পয়সা।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এবার আমনে প্রতি কেজি ধান উৎপাদনে কৃষকের ব্যয় ১৯ টাকা ও চাল উৎপাদন ব্যয় ২৯ টাকা। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর কৃষকের উৎপাদন খরচ ৫০ পয়সা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সরকারি সংগ্রহ মূল্য এক টাকা বেড়েছে। সেমি-অটোমেটিক মিল ছাড়া আর চাল কেনা হবে না। ধানভাঙার মিলগুলোকে (হাসকিং মিল) অটোমেটিক মিলে রূপান্তরে বার বার নির্দেশনা দেওয়া হলেও তারা তা মানেনি জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, অটোমেটিক মিলে রূপান্তরিত না হলেও সেমি-অটোমেটিক মিলেও রূপান্তর করা তাদের জন্য খুব একটা কষ্টকর নয়। আমরা তাদের বারবার সময় দিচ্ছি।
২০১৪ পর্যন্ত শেষ সময় ছিল, পরে ২০১৫ পর্যন্ত সময় নেয়। এখন পর্যন্ত অধিকাংশ হাসকিন মিল সেমি-অটোমিলে রূপান্তরিত হয়নি। কামরুল ইসলাম বলেন, যার ফলে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবারই হাসকিন মিল থেকে শেষবারের মত চাল কেনার জন্য চুক্তিবদ্ধ হব। আগামী বোরো মৌসুম থেকে আমরা কোনো হাসকিন মিলের সাথে চাল কেনার চুক্তি করব না, এটা ফাইনাল সিদ্ধান্ত।
পাঠকের মতামত: