ঢাকা,বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর ইলিশ ধরা-বিক্রি নিষিদ্ধ

নিউজ ডেস্ক ::  জাতীয় মাছ ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে প্রতি বছরের মতো এবারও টানা ২২ দিন ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুদ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সে লক্ষ্যে আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন সব ধরনের ইলিশ ধরা-বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

রোববার (১১ অক্টোবর) সংসদ ভবনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়। এসময়ে ক্ষতিগ্রস্ত ৫ লাখ ৭০ হাজার জেলে পরিবার প্রতিদিন ২০ কেজি হারে চাল পাবেন। চলতি অর্থ বছরে ৬ লাখ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়।

কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম, বি,এম, কবিরুল হক, ছোট মনির, শামীমা আক্তার খানম, এবং কানিজ ফাতেমা আহমেদ অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে ‘সামুদ্রিক মৎস্য বিল, ২০২০’ এবং ‘মৎস্য ও মৎস্যপণ্য (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) বিল, ২০২০’ প্রয়োজনীয় যাচাই বাছাই, পরিবর্তন, পরিমার্জন, সংশোধনপূর্বক সংসদে উত্থাপনের সুপারিশ করা হয়।

চলতি অর্থ বছরে ৬ লাখ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় কর্তৃক নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে বৈঠকে জানানো হয়। বিলুপ্তির পথে থাকা ইলিশের সুদিন ফেরানোর লক্ষ্যে আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২দিন মন্ত্রণালয় কর্তৃক মা ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুদ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত ৫ লাখ ৭০ হাজার জেলে পরিবারকে প্রতিদিন ২০ কেজি হারে চাল বিতরণের কার্যক্রম জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় মৎস্য বিভাগ কর্তৃক গ্রহণ করা হয়েছে।

বৈঠকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালায়ের সচিব, বিভিন্ন সংস্থার প্রধানগণ, আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকের মতামত: