নিউজ ডেস্ক :: সড়ক ও ফুটপাতের ওপর নির্মাণসামগ্রী, দোকান বা অন্য কিছু পেলেই তা সঙ্গে সঙ্গে নিলামে তুলে বিক্রয় করা হবে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। ডিএনসিসির বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নিয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকার পরিচ্ছন্নতা, মশক নিধন, সড়ক মেরামত, চলমান উন্নয়নমূলক কাজ, অবৈধ ফুটপাত দখল, অবৈধ বিজ্ঞাপনী সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড অপসারণসহ ইত্যাদি সরেজমিনে পরিদর্শনকালে আজ রবিবার (৩০ আগস্ট) সকালে তিনি এ কথা বলেন।
উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরে একটি বাড়ির সামনে অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করে নির্মাণসামগ্রী রাখায় আতিকুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেন। এরপর উত্তরা পশ্চিম থানার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় থানার পাশে ডাম্পিং করে রাখা গাড়িতে জমা পানিতে এডিস মশার লার্ভা হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে তিনি এ বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। পাশাপাশি মিরপুরের কালশী খাল ও আশেপাশের এলাকা পরিদর্শন করেন মেয়র। কালশী এলাকার আশেপাশের গলিতে রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে দোকান বসানোর কারণে তিনি ক্ষুব্ধ হন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ডিএনসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, পরেরবার পরিদর্শনে সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেট, ট্রাক, লোডার, বুল্ডোজার ইত্যাদি থাকবে। সড়ক ও ফুটপাতের ওপর নির্মাণসামগ্রী, দোকান বা অন্য কিছু পেলেই তা সঙ্গে সঙ্গে নিলামে বিক্রি করা হবে। সুন্দর ফুটপাতের ওপর নির্মাণসামগ্রী রেখে তা নষ্ট করা হচ্ছে। এই শহরে এগুলো বরদাশত করা হবে না। ১ অক্টোবর থেকে আমরা ঝুলন্ত তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে রাজস্বের আওতা বাড়ানোর জন্য চিরুনি অভিযান শুরু করা হবে। আমরা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে যারা ট্যাক্সের আওতায় আসেননি, তাদের ট্যাক্সের আওতায় আনার ব্যবস্থা নেবো। আমরা আজ শুরু করলাম, এটি চলমান থাকবে।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর সাইদুর রহমান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুল হামিদ মিয়া প্রমুখ।
পাঠকের মতামত: