মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ
রাজাপাড়া বিল বৌদ্ধ বিহারে মুর্তি ভাংচুর, চুরি, মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ, আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার ও গ্রেফতারকৃত আসামীদের দ্রুত জামিন মঞ্জুরের প্রতিবাদে বান্দরবানের লামায় ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বনফুর এলাকার ৯টি পাড়ার কয়েক হাজার বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা প্রবারণা পূর্ণিমা পালন না করে কালো বেইজ ধারন করে প্রতিবাদ জানায়। ১৬ অক্টোবর রোববার মৌন এই প্রতিবাদ জানায় ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বনফুর এলাকার রাজা পাড়া, ইয়াংছা ছোট পূর্ব পাড়া, ছোট পশ্চিম পাড়া, ত্রিশডেবা পাড়া, রেংলে পাড়া, চিনির ঝিরি পাড়া, সাপেরঘারা, সাপমারা ঝিরি ও বড় পাড়ার বৌদ্ধ ধর্মালম্বী লোকজন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাজাপাড়া বিল বৌদ্ধ বিহারের বনফুর এলাকার ৯টি পাড়ার ৩শতাধিক লোকজন প্রবারণা পূর্ণিমা বর্জন করে কালো বেইজ ধারন করেছে। মুর্তি ভাংচুর, চুরি, মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ, আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার ও গ্রেফতারকৃত আসামীদের দ্রুত জামিন মঞ্জুরের প্রতিবাদ জানাতে পূর্বঘোষিত এই কর্মসূচী পালন করছে বলে উপস্থিত সকলে জানায়।
রাজাপাড়া বৌদ্ধ বিহারের সভাপতি মংথোয়াইচিং মার্মা বলেন, গত ২ অক্টোবর রবিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টা ৩০ মিনিটে ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার ও সন্ত্রাসী জনৈক আজিম, জসিম, কালাম, লুৎফর, শাহ আলম সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২০/৩০ জন বহিরাগত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী বনফুর বাজারস্থ রাজাপাড়া বিল বৌদ্ধ বিহারের জায়গায় অনাধিকার প্রবেশ করে বৌদ্ধ মুর্তি ভাংচুর ও চুরি করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় আমি বাদি হয়ে লামা থানায় দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা করি। বিষয়টি সরকারের দৃষ্টিতে আনতে ৪ অক্টোবর লামা উপজেলা পরিষদের সামনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন ও ১২ অক্টোবর লামা রিপোর্টার্স ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন এর মাধ্যমে আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানায় আমরা বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা। প্রশাসন আমাদের মামলাটি নিয়ে গড়িমসি করায় উল্টা আসামীরা আমাদের নামে মিথ্যা মামলা করে অসহায় উপজাতিদের হয়রানী করছে।
প্রবারণা পূর্ণিমা বর্জন ও কালো বেইজ ধারন বিষয়টি জানাজানি হলে সদ্য যোগদানকৃত লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিং ওয়ানু রাখাইন, লামা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. ইকবাল হোসেন ও বনফুর বাজারস্থ বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
বান্দরবান পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নয়। তবে পুলিশকে দ্রুত ঘটনাস্থলে যেতে বলছি।
এই বিষয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক বলেন, বিষয়টি জেনে আমি ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
পাঠকের মতামত: