ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

লামা খালের উপর নির্মাণাধীন উন্নয়ন বোর্ডের সোয়া ৫ কোটি টাকার ব্রিজ কাজ শেষ না হতেই ডেবে গেল !

lama-photo-2-14-12-16মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা প্রতিনিধি ঃ
বান্দরবানের লামার রুপসীপাড়া ইউনিয়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে লামা খালের উপর নির্মাণাধীন ব্রিজের কাজ কার্যাদেশ প্রদানের ৩ বছরেও শেষ হয়নি। ফাইলিং পিলারের সাথে সমন্বয় না রেখে বেইজ ঢালাই দেয়ায় ব্রিজের পূর্ব দিক থেকে ৩য় ও ৪র্থ পিলার দু’টি আংশিক ডেবে গেছে অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা। ৯০ মিটার এই গার্ডার ব্রিজে নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার, স্লাব ঢালাই ও অন্যান্য নির্মাণকাজে অনিয়ম এবং সম্পাদিত নির্মাণকাজের গুণগতমান খুবই নি¤œমানের মর্মে অভিযোগ স্থানীয় জন-সাধারণের। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা জানিয়েছেন, এই বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ৫ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা চুক্তিমূল্যে মি. প্রসন্ন কান্তি আমু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নামে মোঃ নুরুল আবচার নামক জনৈক ব্যাক্তি ব্রিজের নির্মাণ কাজ করছেন। ১ বছর সময় দিয়ে ২০১৪ সালের ২২এপ্রিল কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। কার্যাদেশের সময় মোতাবেক নির্মাণ কাজ শুরু না করায় নির্ধারিত সময়ে ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। ঠিকাদারের একাধিক আবেদনে পরবর্তীতে ৩০ জুন ২০১৭ পর্যন্ত সময় বর্ধিত করা হয়েছে। যথাযত তদারকির অভাব ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে বর্ধিত সময়েও ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ করা সম্ভব হবেনা মর্মে স্থানীয়রা আশংকা করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আকবর আলী, রবিউল সিকদার, অংশেপ্রু মার্মা, রহিমা খাতুন ও ওসমান গণি সহ অনেকে জানিয়েছেন ব্রিজের নির্মাণকাজে ব্যবহৃত মালামাল খুবই নি¤œমানের। ব্রিজের ফাইলিং নির্মাণে সিডিউল অনুসরণ করা হয়নি। ঠিকাদার সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীর সাথে আতাত করে নি¤œমানের বালি, ইট, পাথর ও রড ব্যবহার করেছে। ব্রিজ নির্মাণে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় উপকরণের অভাব ছিল। দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীদের অনুপস্থিতিতে ব্রিজের নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। ফাইলিং পিলারের সাথে সমন্বয় না রেখে বেইজ ঢালাই দেয়া হয়েছে। কাজের বাস্তব অগ্রগতির চেয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে অতিরিক্ত বিল প্রদান করা হয়েছে। গুণগতমান নিশ্চিতের জন্য ল্যাবটেষ্টে প্রদর্শিত নিমাণ সামগ্রীর সাথে ব্রিজের ব্যবহৃত নির্মাণ সামগ্রীর মিল নেই।
নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল আজিজ জানিয়েছেন, নির্মাণকাজের অনিয়মের কোন অভিযোগ পাইনি।

পাঠকের মতামত: