মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ
বান্দরবানের লামায় ঈদের দিনে সড়ক দূর্ঘটনায় শিশু সহ ৪ জন নিহত ও ২৫ জন আহত হয়েছে। লামা-চকরিয়া সড়কের মিরিঞ্জা পর্যটন এলাকায় সোমবার বেলা সাড়ে ১০টায় এই দূর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হল, আলীকদম নয়াপাড়া এলাকার আব্দু রহমানের ছেলে জাহেদুল ইসলাম (১০), মোঃ শফির ছেলে ছরোয়ার হোসেন (১২), পান বাজার এলাকার মোজাম্মেল হকের ছেলে আসাদ (১২) ও চকরিয়ার বেহুলা এলাকার মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে মঞ্জুর আলম (৪২)। নিহতদের লাশ চকরিয়া হাসপাতালে রয়েছে বলে মেডিকেল অফিসার ডাঃ শর্মিলা চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন। তবে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
আহতরা হল, অপু চাকমা (২৫), সুমিত বড়–য়া (৩৩), মিজান (৮), দেলোয়ার হোসেন (৪০) আব্দুল্লাহ (১৪), ছানা উল্লাহ (৮), নুর আলম (৬০), অনিল চন্দ্র দে (৩৭), হারুণ (৮), ইমন (১২), রিদা ত্রিপুরা (২৫), কপিল উদ্দিন (২৮), ওমর ফারুক (১২), রন্টু বড়–য়া (৩২), ওসমান ছরোয়ার (১২), রুকন উদ্দিন (২০), তন্ময় (৫০), নজরুল (১৬), রিমা (১৫) ও বাবুল পাল (২৮) সহ আরো ৫ জন। আহতরা চকরিয়া সরকারী হাসপাতাল, চকরিয়া সিটি হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
৪ জন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে লামা থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, জীপ গাড়ীটি আলীকদম থেকে যাত্রী বোঝাই করে চকরিয়া যাচ্ছিল। জীপ (চান্দের গাড়ী) গাড়ী নং ঢাকা-ল ২১২। গাড়ীতে কমপক্ষে ৫০ থেকে ৫৬ জন যাত্রী ছিল। পথে মিরিঞ্জায় পর্যটন এলাকায় এসে গাড়ীটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের একটি গাছের সাথে ধাক্কা লেগে দুমড়ে মুছড়ে যায়। ২ জনের চকরিয়া হাসপাতালে, ১ জন চকরিয়া সিটি হাসপাতালে ও আরেকজন চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেয়ার পথে মারা যায়।
গাড়ীর যাত্রী রিমন (১৫) ও কপিল উদ্দিন (১১) বলেন, গাড়ীর ড্রাইভার নুরুল আরেকটি গাড়ীকে ওভারটেক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এসময় ড্রাইভার গাড়ী থেকে নেমে পালিয়ে যায়। গাড়ীটিতে ৬০ থেকে ৭০ লিটার দেশীয় চোলাই মদ পাওয়া গেছে।
আলীকদম উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম বলেন, দূর্ঘটনার মৃত্যুর খবর পেয়ে আলীকদম নয়াপাড়া ও পান বাজার এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসেছে। নিহতদের আত্মীয় স্বজনের আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে আসছে।
এদিকে দূর্ঘটনা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন লামা উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী, আলীকদম উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম, লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিন ওয়ান নু। এছাড়া সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও আনসার ব্যাটেলিয়ান উদ্ধার কাজে অংশ নেয়।
পাঠকের মতামত: