ঢাকা,মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

লামায় পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষায় সাংবাদিক আজাদ পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

vvvমোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ

নিজের নামীয় ২৩ বছরের ভোগদখলীয় সৃজিত রাবার বাগান, জমি হতে ভূমিদস্যু সাজিয়ে উচ্ছেদ প্রচেষ্টা ও মিথ্যা সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদে বুধবার বিকাল ৩টায় বান্দরবানের লামা বাজারস্থ কুটুমবাড়ি রেস্টুরেন্ট কনভেনশন হলে সংবাদ সম্মেলন করেছে মরহুম এক সাংবাদিক পরিবার। মরহুম সাংবাদিক আলহাজ্ব মাওলানা আমিনুল হক আজাদ পরিবারের পক্ষে তার ছেলে মোঃ আতাউল্লাহ লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এই সময় মরহুম সাংবাদিকের স্ত্রী মমতাজ বেগম উপস্থিত ছিলেন। আমিনুল হক আজাদ জাতীয় দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার প্রতিনিধি ও ১৯৯১ সালে লামা প্রেস ক্লাবের নির্বাচিত সভাপতি ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে জানা যায়, মরহুম সাংবাদিক আমিনুল হক আজাদের নামীয় লামা উপজেলার ২৯৪ নং দরদরী মৌজায় রাবার প্লট নং ১০, সীট নং ১২ মূলে ২৫ একর ৩য় শ্রেণীর জমি ১৯৯৪-৯৫ সালে জেলা প্রশাসক হইতে লীজ প্রাপ্ত হয়। উক্ত প্লটের জবানবন্দী, মাঠখড়সা পরিশোধিত সম্পূর্ণ সালামী ও ভ্যাটের রশিদ, দখল দাবী সনদপত্র এবং ট্রেস ম্যাপ তাদের রয়েছে। তাছাড়া ২৩ বছর যাবৎ রাবার সহ নানান প্রজাতির গাছের বাগান সৃজন করে ভোগদখলে আছে। গত ২০০৫ সালে সাংবাদিক আমিনুল হক আজাদ মারা যায়। অসহায় হয়ে পড়ে পরিবারটি।

এই অসহায়ত্বের সুযোগে লামা উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের মুসলিম পাড়ার জনৈক তফেজ গাজীর ছেলে আবুল হোসেন গং কিছু ‘আর’ হোল্ডিং এর চৌহদ্দি ভুল কাগজপত্র উপস্থাপন করে মরহুমের জায়গা ও বাগান জবরদখলের পায়তারা চালায়। অপরদিকে বাগানে কোন গাছ নেই, এমন মিথ্যা তথ্য দিয়ে রাবার প্লট নং ১০ বাতিলের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

আরো বলেন, আমাদের বাড়ি বাগানের থেকে দূরে হওয়ায় তারা সব সময় আমাদের বাগান থেকে রাবার, সেগুন, গামারী, করই, গোদা সহ বিভিন্ জাতের গাছ কেটে নিয়ে যায়। প্রায় সময় আমাদের লাগানো জমির ধান তারা কেটে নিয়ে যায়। প্রতিকার চেয়ে অসহায় সাংবাদিক পরিবার নিজের মালিকানার সকল কাগজপত্র ও দলীলাদি সংযুক্ত করে আবুল হোসেন গংদের বিবাদী করে লামা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সি.আর মামলা ১৩/১৭ রুজু করে।

সকল দিকে ব্যর্থ হয়ে কিছু সাংবাদিক ভাইদের ভুল ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে এবং আমার মরহুম বাবাকে নিয়ে কটাক্ক বক্তব্য দেয়। আমরা সেই সব মিথ্যা সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

সরজমিনে ঘুরে আশপাশের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, মরহুম সাংবাদিক আমিনুল হক আজাদ ১৯৯৪-৯৫ সাল থেকে উক্ত জায়গায় বাগান সৃজন করে দখলে আছে। উক্ত ২৫ একর জায়গার মধ্যে কোন মসজিদের সীমানা পড়ে নাই। তাছাড়া মরহুমের জায়গায় অন্য কোন বসতি নেই। অপরদিকে আবুল হোসেন একজন মামলাবাজ প্রকৃতির লোক বলে জানা যায়। লামা থানা ও আদালতে তার নামে অসংখ্য মামলা মোকদ্দমা রয়েছে।

এবিষয়ে রুপসীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ছাচিং প্রু মার্মা বলেন, আমি একাধিকবার উভয়পক্ষকে তাদের মালিকানার সকল কাগজপত্র নিয়ে আমার কাছে আসতে বলেছি। তারা আসেনি।

পাঠকের মতামত: