মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ
বান্দরবানের লামায় নদী ভাঙ্গনের ফলে হারিয়ে যেতে বসেছে বিস্তৃর্ণ এলাকা। রুপসীপাড়া ইউনিয়নের দূর্গম নাইক্ষ্যং ও লইক্ষ্যং মৌজা থেকে নেমে আসা ‘লামা খালের’ ভাঙ্গনের কবলের অংহ্লারী পাড়া এলাকার ৫ কোটি ব্যায়ে নির্মিত অংহ্লারী পাড়া ব্রিজ, মসজিদ, অংহ্লারী পাড়া বাজার ও অর্ধ শতাধিক জনবসতি। অতি দ্রুত ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা না নিলে কয়েক মাসের মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি শফিউল আলম মেম্বার জানায়, বিগত কয়েক বছর যাবৎ অংহ্লারী পাড়া এলাকার লামা খালের পশ্চিম পাশে প্রায় ২ হাজার গজ নদীর পাড় ভেঙ্গে চলেছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু চাষের জমি, বসতবাড়ি ও রাস্তা নদী গর্ভে হারিয়ে গেছে। যেভাবে পাড় ভাঙ্গে যাচ্ছে কিছুদিনের মধ্যে ৫ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত অংহ্লারী পাড়া ব্রিজটি ১ পাশে পড়ে যাবে। অতি শীঘ্রই নদী শাসনের ব্যবস্থা করা না গেলে ১০ থেকে ১৫ কোটি টাকার সরকারী ও বেসরকারী সম্পদ নদীর ভাঙ্গনে হারিয়ে যাবে। পার্বত্য এলাকায় বরাদ্দের কোন অভাব না থাকলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিস্ক্রিয়তা দেখে মনে হয় পার্বত্য এলাকায় তাদের কোন দায়দায়িত্ব নাই। এলাকাবাসী এই বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বাবু বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপির হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ বিষয়ে ৬নং রুপসীপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছাচিং প্রু মার্মা বলেন, এই বিষয়ে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ড অথবা পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড থেকে ভাঙ্গনরোধে প্রকল্প গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন।
লামা উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী বলেন, মাসিক সমন্বয় সভায় আমরা বার বার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। মাতামুহুরী ও লামা খালের বিভিন্ন অংশ দিয়ে নদী ভাঙ্গছে। এছাড়া মাতামুহুরী নদীর গতিপথ পরিবর্তনে সংশ্লিষ্ঠ মন্ত্রণালয়ে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে।
পাঠকের মতামত: