মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ
বান্দরবানের লামায় কোম্পানীদের তামাক ক্রয়ে নানান অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তামাকের ন্যায্য মূল্য না দেয়া, শ্রেণী বিন্যাসে কারচুপি, ওজন পরিমাপে চুরি, চাষীর পরিবর্তে ব্যবসায়ীদের তামাক ক্রয়ে সুবিধা প্রদান, ভ্রাম্যমান ক্রয় কেন্দ্র বন্ধ করে শুধুমাত্র কোম্পানীর অফিসে ক্রয় সেন্টার করে কৃষকের পরিবহন খরচ বৃদ্দি সহ অসংখ্যা অনিয়ম করে যাচ্ছে তামাক কোম্পানীরা। তামাক কোম্পানীদের এই দৌরাত্মের লাগাম দেয়ার মত কেউ নেই। এই যেন মগের মুল্লুক। কোন চাষী প্রতিবাদ করলে তাকে পোহাতে হচ্ছে নানান নির্যাতন।
লামা পৌরসভা তামাক চাষী মংয়ে মার্মা সমস্যার কথা তুলে ধরে বলেন, সম্প্রতি লামা উপজেলা তামাক কোম্পানি সমুহ নিজেরা সরকারী নিয়মনীতি লঙ্গন করে তামাক ক্রয়ের কেন্দ্রে তামাকের শ্রেণী বিন্যাস, ওজন পরিমাপ, মূল্য নির্ধারণে বিভিন্ন অজুহাত সৃষ্টি করে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি, প্রতারণা ও হয়রানি করছে। প্রকৃত তামাকের দাম না পেলে ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে এলাকা থেকে শত শত কৃষক পালিয়ে যেতে বাধ্য হবে।
আরেক তামাক চাষী মোঃ শাহজাহান বলেন, তামাকের ন্যায্য দাম আদায় না হওয়া পর্যন্ত কৃষকরা আত্মনির্ভরশীল হতে পারবেনা। প্রতিটি তামাক বেলে ২কেজি কর্তন এবং ১শত কেজি বেলের পরিবর্তে ৭০কেজি নির্ধারণ করে কৃষকদের আর্থিক লোকসান করছে।
কৃষকের স্বার্থ সংরক্ষণের কথা বলে সাবেক মেয়র তাজুল ইসলাম বলেন, সরকারী সংশ্লিষ্ট বিভাগের চোখে ফাঁকি দিয়ে তামাক কোম্পানীসমূহ তাদের নিজস্ব ক্রয় কেন্দ্রে তামাকের মূল্য নির্ধারণ করে তামাকের শ্রেণী বিন্যাস, প্রতারণা ও দুর্নীতির মাধ্যমে তামাক চাষীদের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত করছে। জরুরী ভিত্তিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ও নির্দেশনায় সুন্দর ও সুষ্ট পরিবেশে কৃষি বিভাগের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে তামাক ক্রয়, শ্রেণী বিন্যাস, তামাক চাষীদের নিরাপত্তা ও মূল্য নির্ধারণ করে কৃষকের আর্থিক ক্ষতি ও হয়রানি বন্ধ করতে আহবান জানান।
লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদ মাহমুদ বলেন, সরকারী ভাবে তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করতে বলা হয়েছে। তার পরেও কৃষকের পক্ষ থেকে অনিয়মের বিষয়ে আমাকে অবহিত করলে আমি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।।
পাঠকের মতামত: