ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

র‌্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলমকে হাইকোর্টের তলব

নিজস্ব প্রতিবেদক ::  চারমাস আগে দেওয়া সাজার আদেশের কপি সরবরাহ না করায় র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলমকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী পহেলা ডিসেম্বর তাকে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে আবেদনকারীকে সাজার আদেশের কপি দেওয়ার ক্ষেত্রে তার ব্যর্থতাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং তাকে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে আদেশের কপি সরবরাহের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। সাতদিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ আদেশ দেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের আদেশের কপি না পেয়ে সংক্ষুব্ধ মো. মিজান মিয়ার করা রিট আবেদনে এ আদেশ দেন হাইকোর্ট। আইন ও স্বরাষ্ট্র সচিব, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক, নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও র‌্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলমকে সাতদিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন খান। রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের বটতলা খাল পাড়ের অবস্থিত পশু খাদ্য প্রস্তুতকারী তপু এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার মো. মিজান মিয়াকে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম গত ১৮ জুলাই একবছর কারাদণ্ড দেন। ২০১০ সালে করা মৎস্য ও পশু খাদ্য আইনে এ সাজা দেওয়া হয়। সেদিনই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এই সাজার আদেশের কপি চেয়ে ২১ জুলাই মিজান মিয়া সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন করেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত আদেশের কপি সরবরাহ করা হয়নি। এমনকি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পক্ষ থেকেও আদেশের কপি চাওয়া হলেও তা তিনি সরবরাহ করেননি। ফলে ওই সাজার বিরুদ্ধে আপিল করতে পারেননি মিজান মিয়া। এ অবস্থায় মো. মিজান মিয়া হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। এ রিট আবেদনে সারওয়ার আলমকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।

এর আগে হাইকোর্ট গত ২৯ অক্টোবর এক আদেশে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেওয়া সাজার আদেশের সত্যায়িত অনুলিপি কপির জন্য আবেদন করার ৫ কার্যদিবসের মধ্যে তা আবেদনকারীর অনুকূলে সরবরাহ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। এই নির্দেশ বাস্তবায়নে মন্ত্রী পরিষদ সচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাজার কপি না পেয়ে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির করা পৃথক কয়েকটি রিট আবেদনে এ আদেশ দেওয়া হয়। এরপরও মো. মিজান মিয়াকে আদেশের কপি না দেওয়ায় র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে তলব করা হলো।

পাঠকের মতামত: