ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্বের সব দেশ ও সংস্থা বাংলাদেশের পাশে রয়েছে

smঅনলাইন ডেস্ক :::

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ইস্যুতে পৃথিবীর প্রায় সব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। এ ইস্যুতে দেশটির বিভিন্ন লেভেলে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। এ ব্যাপারে অং সান সুচির সঙ্গেও আমাদের কথা হয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুটি অত্যন্ত সংবেদনশীল পর্যায়ে রয়েছে। ম্যাডাম সুচি রোহিঙ্গা ইস্যুটি সুরাহার ব্যাপারে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। আর কঠোর টহলের পরও যেসব মিয়ানমারের রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, মানবিক কারনে আমাদের যেটুকু করার তা করছি। খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা তাদের প্রদান করা হচ্ছে। সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় এমপি আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইনের সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মহল ছাড়াও আশিয়ানভূক্ত কয়েকটি দেশও বিষয়টি সুরাহার জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। তিনি বলেন, অং সান সুচির সঙ্গে আলোচনায় তিনি যেসব কথা বলেছেন তা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। তিনিও চেষ্টা করছেন, তার নিজেরও সদিচ্ছা রয়েছে।
চীনের প্রেসিডেন্টের সফরে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না : সরকার দলীয় এমপি মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ইতিহাস, ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধ এবং ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানগত বাস্তবতার নিরিখে রচিত। অপরদিকে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অর্থনৈতিক, প্রযুক্তি ও প্রকল্প সহযোগিতা এবং বাণিজ্য অর্থায়নসহ উন্নয়ন রাজনীতির বহুধাপ বিশিষ্ট ধারায় প্রবাহিত। তিনি বলেন, ভারত ও চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক তাই স্বতন্ত্র, স্বকীয় এবং উন্নয়নের পরিভাষায় এক অপরের পরিপূরক। এ প্রেক্ষাপটে চীনের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরের কোন নেতিবাচক প্রক্রিয়া কোথাও পড়বে বলে আমরা মনে করি না। আর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূল নীতিই হচ্ছে ‘সকল দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বৈরিতা নয়’। বাংলাদেশ বরাবরই প্রতিবেশী দেশসহ প্রতিটি রাষ্ট্রের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার ব্যাপারে বিশ্বাসী। আর প্রতিবেশী দেশসমূহের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন বর্তমান সরকারের পররাষ্ট্রনীতির প্রাধিকার। ভারতের ক্ষেত্রেও তার ব্যত্যয় ঘটবে না। সেলিম উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, গত ১৪ থেকে ১৫ই অক্টোবর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর বাংলাদেশ সফর ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এ সফর চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কোন্নয়নের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, যা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে গভীর ও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
তিনি জানান, চীনের প্রেসিডেন্টের সফরের ফলে দু’দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, ভৌত-অবকাঠামো, সড়ক-সেতু, রেল ও জলপথে যোগাযোগ, বিদ্যুত ও জ্বালানী উৎপাদন, যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি, কৃষি ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতার পথ প্রশস্ত ও গভীরতর হবে। এছাড়াও দু’দেশের মধ্যে সমুদ্র-সম্পদসহ দুর্যোগ মোকাবিলা, জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাসের মতো বৈশ্বিক বিষয়ে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র উম্মোচিত হয়েছে।

পাঠকের মতামত: