রফিকুল ইসলাম : গত কয়েক বছরের কক্সবাজার ও সংলগ্ন এলাকা গুলো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়ে চলছেই। এসব দুর্যোগ মাথায় রেখে উখিয়ার কুতুপালং মেঘা ক্যাম্প থেকে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থান থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে। চলতি বর্ষা মৌসুমে এ অঞ্চলে কয়েক বছরের মধ্যে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারনে জাতিসংঘ শরনার্থী সংস্থা, বাংলাদেশ সরকার ও সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে ভূমিধস, বন্যা ও জলাবদ্ধতার ঝুঁকিতে থাকা কয়েক হাজার রোহিঙ্গা পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়ে আসছে।
গতকাল শনিবার জেনেভায় অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের শরনার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র উইলিয়াম স্পিন্ডলার বলেন, গত ১৯ মে থেকে গতকাল পর্যন্ত আনুমানিক ৪৯ হাজার শরনার্থী বিরূপ আবহাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এদের মধ্যে ২৫ হাজারের বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এদের মধ্যে ২৫ হাজারের বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে প্রবল দমকা ও ঝড়ো হাওয়ায়। ১৫ হাজারের বেশি ভূমিধ্বসে, ৫ হাজার ৪শ বন্যায়। এছাড়া জলাবদ্ধতা ও অগ্নিকান্ডে ৩ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন এমন আনুমানিক ৪৯ হাজার রোহিঙ্গার অর্ধেকের বেশি প্রায় ২৪ হাজার শরণার্থীকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
স্পিল্ডলার বলেন, প্রতিদিন দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে বেশ কিছু প্রাণঘাতী ও অন্যান্য ঘটনা এড়ানো হয়। ইউএনএইচসিআর ও বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্বে সহযোগীদের চালিত প্রচেষ্টায় রোহিঙ্গাদের সহায়তা কাজ করছে। হাজার হাজার বিরূপ আবহাওয়া কবলিত রোহিঙ্গা পরিবারের সহায়তায় জরুরী ভিত্তিতে সংঘটিত সহায়তা টিম পাঠানো হচ্ছে। তিনি বলেন, গত কয়েক মাস ধরে সংগঠিত স্বেচ্ছাসেবকদের যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে তা কয়েক সপ্তাহে পুরোপুরি কাজে লাগানো হয়েছে।
এর পাশাপাশি এ বিশাল শরণার্থী বসতির মানুষগুলো যাতে প্রাকৃতিক দুর্যোাগ মোকাবিলা করতে পারে তার জন্য নিবিড় প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আর এ বিশাল বসতির কারণে খুবই বড় পরিসরে কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, কুতুপালং শরর্ণাথী শিবির প্রায় ১৩ কি: মি: জুড়ে বিস্তৃত। বর্তমানে এটি বিশ্বের এ ধরনের সবচেয়ে বড় উদ্বাস্ত শিবির। এখানে ৬ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী বসবাস করছে। ইউএনএইচসিআর জানায়, এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক কুতুপালং সাইটে প্রায় ৩২ কি:মি: রাস্তা, ৪৫ কি:মি: ধাপ, ৬৩ কি:মি: রিটেইনিং ওয়াল ও কাঠামো এবং ৯৪ কি:মি: ড্রেনের কাজ সম্পন্ন বা মেরামত করা হয়েছে। ২ হাজার ৩২৪ মিটার ব্রিজ করা হয়েছে। জরুরী ত্রাণ হিসাবে ১১৬টি স্টোরেজ কন্টেইনার স্থাপন করা হয়েছে এবং স্থানীয়দের ২০টি সামাজিক ভবন বা স্থাপনা উন্নয়ন করা হয়েছে।
প্রকাশ:
২০১৮-০৮-১২ ০৩:৫২:২৬
আপডেট:২০১৮-০৮-১২ ০৩:৫২:২৬
- চকরিয়ায় ৪৬টি পূজা মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনের প্রস্তুতি
- চকরিয়ায় ইট বোঝাই ডাম্পার ট্রাকের চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
- চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালীতে ভন্ড বৈদ্যের আবির্ভাব
- বৈষম্য মূলক নিয়োগে ফুঁসে উঠেছে চৌদ্দ হাজার সিএইচসিপি!
- কক্সবাজারে যোগ হচ্ছে রিজিওনাল ট্রেনিং সেন্টার :
- চকরিয়ায় যাত্রীবাহি বাস চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
- আগস্টে ৪৬৭ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৭৬
- সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে চকরিয়ায় মানববন্ধন
- চাঁদাদাবী, ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চেয়ারম্যান ইউনুছসহ ১২জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
- কক্সবাজার আদালতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর যৌতুকের মামলা!
- তামাকের ব্যবহার কমাতে শক্তিশালী কর পদক্ষেপ ও আইনের বিকল্প নেই
- সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে চকরিয়ায় মানববন্ধন
- চকরিয়ায় যাত্রীবাহি বাস চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
- কক্সবাজারে যোগ হচ্ছে রিজিওনাল ট্রেনিং সেন্টার :
- চকরিয়ায় পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে দুই বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু
- তামাকের ব্যবহার কমাতে শক্তিশালী কর পদক্ষেপ ও আইনের বিকল্প নেই
- আগস্টে ৪৬৭ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৭৬
- চাঁদাদাবী, ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চেয়ারম্যান ইউনুছসহ ১২জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
- চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালীতে ভন্ড বৈদ্যের আবির্ভাব
- চকরিয়ায় ইট বোঝাই ডাম্পার ট্রাকের চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
- বৈষম্য মূলক নিয়োগে ফুঁসে উঠেছে চৌদ্দ হাজার সিএইচসিপি!
- চকরিয়ায় ৪৬টি পূজা মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনের প্রস্তুতি
পাঠকের মতামত: