খালেদ হোসেন টাপু, রামু :::
রামুতে শেষ হয়েছে গ্রামবাংলার ক্রীড়া ঐতিহ্য কেন্দ্রীয় নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। চারদিন ব্যাপী এ খেলার শেষদিনে বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রামুর বাঁকখালী নদী দু’পাড় গ্রামীণ মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়। ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পানি সম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, রামু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম। রামু কেন্দ্রীয় নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা ২০১৬ আয়োজন করে, রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদ।
পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি তাঁর লিখিত বক্তব্যে বলেন, কক্সবাজারের উন্নয়নের সাথে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সম্মান জড়িত। উন্নয়ন মহাপরিকল্পনায় কক্সবাজার উন্নত শহরে পরিণত হবে। অচিরেই কক্সবাজার থেকে কাউয়ারখোপ পর্যন্ত বাঁকখালী নদীর দু’পাড়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে। বৃহৎ প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নের মাধ্যমে কক্সবাজার ও রামু উপজেলার মানুষকে ভয়াবহ বন্যার কবল থেকে মুক্ত করা হবে।
রামু কেন্দ্রীয় নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতার সর্বশেষ ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি বলেন, সাহিত্য,সংস্কতি ঐতিহ্যে ভরপুর পর্যটন শহর রামু উপজেলা। এখানে রয়েছে পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনা। গ্রামীণ লোকজ ঐতিহ্যবাহি নৌকা বাইচ খেলা। শত বছর আগে রামু’র বাকখাঁলী নদীতে নৌকা বাইচ খেলা শুরু হয়েছিল। কালক্রমে এখেলা আমাদের ক্রীড়া-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। আজকের ফাইনাল খেলায় লাখো মানুষে ঢল দেখে আমি অভিভুত হয়েছি।
রামু কেন্দ্রীয় নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদুল আলমের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি একে আহমদ হোছাইন, রামু উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম, রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহজাহান আলী, রামু থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর, চেয়ারম্যান শামসুল আলম, জেলা যুবলীগ নেতা পলক বড়–য়া আপ্পু, গর্জনিয়া চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম, চাকমারকুল চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার, কাউয়ারখোপ চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক কায়সারুল হক জুয়েল, জেলা স্বেচ্ছাসেবকজলীগ নেতা রুস্তুম আলী চৌধুরী,রশিদ নগর চেয়ারম্যান এমডি শাহ আলম, রাজারকুল চেয়ারম্যান মুফিজুর রহমান, ফতেখাঁরকুলের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভূট্টো, কচ্ছপিয়া চেয়ারম্যান আবু ইসমাঈল নোমান, জোয়ারিয়ানালা চেয়ারম্যান কামাল শামসুদ্দিন আহমদ প্রিন্স,যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নীতিশ বড়–য়া, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক তপন মলি¬ক, আওয়ামীলীগ নেতা মীর কাশেম হেলালী, সৈয়দ মোঃ আব্দুর শুক্কুর, জোয়ারিয়ানালার সাবেক চেয়ারম্যান ফরিদ ভক্ত বাবুল,রামু কেন্দ্রীয় নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতার পরিচালনা কমিটির মহাসচিব আবুল বশর মেম্বার, আব্দুল মালেক চৌধুরী ভুলু, নুরুল আমিন মাষ্টার, আমান উল¬াহ, আসাদ উল¬াহ, মহি উদ্দিন, সাংবাদিক খালেদ হোসেন টাপু, অর্পন বড়–য়া, এমপি কমলের ব্যক্তিগত সহকারী আবু বক্কর ছিদ্দিক, সাইফুল ইসলাম মেম্বার, আব্দুর রহিম মু্িন্স, জাফর আলম মেম্বার, মোর্শেদ আলম মেম্বার, সন্তোষ বড়–য়া মেম্বার, মাওলানা নুরুল আজিম, ওমর ফারুক মাসুম, গফুর মিয়া, আজিজুল হক, রমজান আলী, মোঃ রফিক ও ফরিদুল আলম প্রমুখ।
ফাইনাল খেলায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে চ্যাম্পিয়ন ট্রপি লাভ করেন পশ্চিম নোনাছড়ি ভাই ভাই কমিটি। তাছাড়া ২য় নোনাছড়ি নতুন বাহিনী তালেব মেম্বার ও উত্তর ফতেখাঁরকুল মায়ের দোয়া ৩য় স্থান অধিকার করেছেন। ৪দিনব্যাপী এ প্রতিযোগীতায় জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের ২৬ নৌকা বাইচ দল অংশ গ্রহণ করেন এবং ফাইনাল খেলায় ২৬ পাড়ি খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
রামুতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সন্ত্রাসবাদ দমন বিষয়ক সভায় রিয়াজ উল আলম
দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে
খালেদ হোসেন টাপু,রামু
রামুতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সন্ত্রাসবাদ দমন বিষয়ক সভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম বলেছেন, দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে অক্ষুন্ন রেখে আমাদের কাজ করতে হবে। রামু সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য ভূমি। বিদ্যমান ঐতিহ্য অক্ষুন্ন রেখে রামু উপজেলার উন্নয়নে নিজ অবস্থান থেকে সর্বস্তরের মানুষকে অবদান রাখার আহবান জানান তিনি। বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত জনপ্রতিনিধি ও আলেম ওলামাদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত বিশেষ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহজাহান আলী। বক্তব্য রাখেন ভাইস চেয়ারম্যান আলী হোসেন, রামু থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর, বাইপাস কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলনা হাফেজ আব্দুল হক, ফতেখাঁরকুল চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম, গর্জনিয়া চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম, চাকমারকুল চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার, রাজারকুল চেয়ারম্যান মুফিজুর রহমান, চেয়ারম্যান শামসুল আলম, কাউয়ারখোপ চেয়ার¤্রান মোস্তাক আহমদ, কচ্ছপিয়া চেয়ারম্যান আবু মোঃ ইসলাইল নোমান, মাওলানা মোঃ উল্লাহ, মাওলানা মোঃ মোহছেন শরীফ, মাওলানা আব্দুস ছালাম কুদছী, মাওলানা আমানুল হক, মাওলানা আহমদুল হক, ইসলামী ফাউন্ডেশনের সুপারভাইজার সাইফুদ্দিন খালেদ, হাফেজ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর, মাওলানা শাহ জাহান শাহেনুর, মাওলানা মুহাম্মদ একরামুল হক, মাওলানা ফারুখ আহমদ, মাওলানা মোঃ আজিজুল হক, মাওলনা মোঃ ফজুলল করিম, মাওলানা মিছবাহ উদ্দীন, মাওলানা মোঃ ওসমান ,এস মুহাম্মদ উল্লাহ, এম আমিনুল্লাহ হেলালী, মাওলানা আবুল বশর, মাওলানা মোস্তাক আহমদ, মাওলানা নুরুল হক, মাওলানা মঈনদ্দিন মাহমুদ, মাওলানা মোঃ এনামুল হক, মাওলানা মোঃ ইউসুফ, মাওলানা আলী হোছাইন, মাওলানা কামাল উদ্দিন, মাওলানা মোক্তার আহমদ, মাওলানা মমতাজ আহমদ, মাওলানা নজরুল ইসলাম, কাজী সমিতির সহ সভাপতি কাজী মোঃ আবু বক্কর ছিদ্দিক, মাওলানা এনামুল হক, মাওলানা আজগর আলী, মাওলানা আতাউল হক, মৌলভী আবু বক্কর প্রমুখ।
পাঠকের মতামত: