ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

মানবতাবিরোধী অপরাধ হচ্ছে মিয়ানমারে

roআন্তর্জাতিক ডেস্ক

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং পুলিশ দেশটির সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতিসংঘের শীর্ষস্থানীয় একজন কর্মকর্তা।

মিয়ানমারে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াংহি লি বিবিসির একটি অনুষ্ঠানে এ কথা বলেছেন।

তবে রোহিঙ্গাদের বিষয়ে বা এমন অভিযোগের বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি অং সান সু চি; প্রায় এক বছর ধরে যার দল ক্ষমতায়।

সু চির দলের একজন মুখপাত্র বলেছেন, এসব অভিযোগ অতিরঞ্জিত এবং এটি তাদের আভ্যন্তরীণ বিষয়, মোটেও আন্তর্জাতিক কোনো ইস্যু নয়।

জাতিসংঘের দূত লি মিয়ানমারের সহিংসতা কবলিত এলাকাগুলো পুরোপুরি ঘুরে দেখতে পারেননি। তবে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলার পর তিনি বিবিসিকে বলেছেন, যেমনেটা ভেবেছিলেন পরিস্থিতি আসলে তার চেয়ে অনেক বেশি ভয়াবহ।

তিনি বলেন, আমি বরং এটাকে মানবতাবিরোধী অপরাধ বলবো। অবশ্যই মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী, সীমান্তরক্ষীরা, পুলিশ বা নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা।

তিনি আরো বলেন, নিরাপত্তাবাহিনীর নির্যাতন-সংক্রান্ত এই সমস্যাটি আসলে পদ্বতিগত। কিন্তু অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে এ ঘটনার দায় কিছুটা নিতে হবে। দিন শেষে এই সরকারকেই নিজেদের লোকের বিরুদ্ধে সংঘটিত এসব নির্মম নির্যাতনের বিষয়ে জবাব দিতে হবে।

বিবিসির প্রতিবদনে বলা হয়েছে, গেল বছরের অক্টোবরে সীমান্তে একটি জঙ্গি হামলার পর দেশটিতে শুরু হওয়ার সামরিক অভিযানের কারণে অন্তত ৭০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিমকে দেশে ছেড়ে বাংলাদেশে পালাতে হয়েছে।

মিয়ানমারের সংবিধান অনুযাযী যদিও সু চির প্রেসিডেন্ট হওয়ার উপায় নেই কার্যত তাকেই দেশটির নেতা হিসেবে মনে করা হয়।

সু চির রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লিগ অব ডেমোক্রেসির মুখপাত্র অভিযোগের বিষয়ে বলছেন, নতুন একটা সরকার হিসেবে আমরা আধুনিক একটা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের হাজারো সমস্যা আছে। এগুলোকে মানবাতাবিরোধী অপরাধ বলে আমরা মনে করি না।

পাঠকের মতামত: