মাদকাসক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে যাচ্ছে সরকার। এজন্য একটি সুস্পষ্ট নির্দেশনা জারির বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবেচনায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে এম আবদুল লতিফের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে মাদক ও তামাকের অপব্যবহার রোধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কমিটি গঠনসহ বিভিন্ন কর্মসুচি গ্রহণের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর হতে প্রতিষ্ঠানসমুহকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাদকাসক্ত শিক্ষার্থীদের বিষয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে মনিটরিং করার জন্য বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করা আছে। প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ গঠিত কমিটি মাদক থেকে শিক্ষার্থীদের দূরে রাখার জন্য নিবিড়ভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ধারা ৯ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের চলাফেরা, শিক্ষা অর্জন ও জীবনের নিরাপত্তা বিধানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের। এই আইনের ধারা ২৮ এর বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির উপর স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের সব পর্যায়ের শৃঙ্খলা বিরোধী আচরণের প্রতিকার ও শাস্তির লক্ষ্যে অভিযোগ দাখিল, তদন্ত ও শুনানীর জন্য প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন ও তদানুযায়ী দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় সুপারিশ সম্বলিত প্রস্তাব সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের জন্য পেশ করার দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, যে কোন ধরনের অপকর্ম তথা জঙ্গি-সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, ইয়াবাসহ সব ধরনের মাদক সেবন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। মনিটরিং সেলের গৃহীত কার্যক্রম সংক্রান্ত প্রতিবেদন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মনিটরিং সেল শিক্ষার্থীদের কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে তাদের সমস্যা উত্তরণ ঘটাতে পারবে।
এছাড়া দেশে বিদ্যমান ‘ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ (সংশোধিত ২০১৩)’ এবং বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী পাবলিক প্লেসে ধুমপান আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। এই আইন অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পাবলিক প্লেসের অন্তর্ভুক্ত। তাই সব প্রতিষ্ঠান প্রধানকে তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান ধুমপান মুক্ত রাখার পাশাপাশি শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মাঝে ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দৃশ্যমান স্থানে ধুমপানমুক্ত সাইনেজ লাগানোর জন্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত: