ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

মসজিদের জায়গা দখলে অভিযোগ

ঙঙঙঙমোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি,

কক্সবাজারের চকরিয়ার বমু বিলছড়ি ইউনিয়নের বমু লম্বা ছডা জামে মসজিদের জায়গা অবৈধ দখলের অভিযোগ করেছেন জমি দাতা জাকের হোসেন (৬০), আনোয়ার হোসেন (৫৬) ও মোঃ ইসমাইল (৫০)। তাছাড়া অনুন্নত এলাকার একটি মসজিদের আয়বর্ধক জমি ছিনিয়ে নেয়ার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মসজিদের মুতয়াল্লী ও সমাজের লোকজন।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, সুদীর্ঘ ৬০ বছর যাবৎ জমিদাতা জাকের হোসেন, আনোয়ার হোসেন ও মোঃ ইসমাইল বমু লম্বা ছডা এলাকায় বসবাস করেন। উক্ত এলাকায় ও আশপাশে কোন মসজিদ না থাকায় এলাকার মানুষ এর অনুরোধে তারা তাদের পৈত্রিক সময় থেকে ভোগদখলীয় ৬ একর ৪০ শতক খাস জায়গা মসজিদ প্রতিষ্ঠায় ও মসজিদের আয়ের কথা চিন্তা করে দান করেন। মসজিদ পরিচালনা ও ঈমামের দায়িত্ব দেয়া হয় জনৈক মোলভী জালাল উদ্দিনকে। কিছুদিন আগে তিনি মারা যান। তার মৃত্যুতে নতুন ঈমাম নেয়া হয়।

বমু লম্বা ছডা জামে মসজিদের সভাপতি মোঃ এনামুল হক বলেন, মোলভী জালাল উদ্দিন দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে তার বড় ছেলে সমজিদের জায়গায় একটি বসতভিটা তৈরি করেন। সম্প্রতি সময়ে সরকার ভূমিহীনদের বসতভিটার জন্য খাস জায়গা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এই সুযোগে মোলভী জালাল উদ্দিন এর ওয়ারিশ লায়লা বেগম, এনায়েত উল্লাহ, এহসান উল্লাহ, নেয়ামত উল্লাহ ও মাহেদা বেগম মসজিদের জায়গা থেকে ৪০ শতক করে মোট ২ একর জায়গা নিজেদের নামে বন্ধোবস্তীর জন্য প্রস্তাব করে। উক্ত জায়গার আয় দিয়ে মসজিদ পরিচালিত হয়। আমরা সমাজের লোকজন এনায়েত উল্লাহ গংদের আবেদন বাতিল করে উক্ত জায়গা মসজিদের নামে বন্ধোবস্তী প্রদানের জন্য প্রশাসন কাছে জোর অনুরোধ করছি।

স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ ইলিয়াছ বলেন, মসজিদের দখলীয় জায়গা নিজেদের নামে বন্ধোবস্তীর আবেদন করাটা ঠিক হয়নি। উক্ত জায়গা দীর্ঘদিন যাবৎ মসজিদ দখলে আছে।

৪নং বমু বিলছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতলব বলেন, মোলভী জালাল উদ্দিন এর ওয়ারিশ ৫জন ভূমিহীন। তাই তাদের নামে ৪০ শতক করে জায়গা বন্ধোবস্তীর বিষয়ে আমি সুপারিশ করেছি।

এবিষয়ে চকরিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) দিদারুল আলম বলেন, মসজিদের জায়গা ব্যাক্তিনামে বন্ধোবস্তীর প্রস্তাবের বিষয়ে আমাকে কেউ অবহিত করেনি। তবে বিষয়টি পুণরায় তদন্ত করে দেখা হবে। পূর্বের দখলদারকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

পাঠকের মতামত: