ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি :::
অনড় দু’পক্ষ। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী সায়েদুল হক বিজয়নগর যাবেনই। আর তাকে প্রতিরোধে সব বন্দোবস্ত করার কথা জানিয়েছে বিজয়নগর আওয়ামী লীগ। হরতাল সফলে দু’দিন ধরে চলছে মাইকিং। এ নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে বিজয়নগর জুড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গতকাল রাতে সেখানে ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। নামানো হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। সায়েদুল হকের আজকের বিজয়নগর উপজেলা সফর নিয়ে এ উত্তেজনা। শুক্রবার সেখানকার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভেঙে ফেলা হয়েছে নামফলক। গতকাল বিকালে লাঠি মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ। মন্ত্রী-এমপি’র বিরোধে প্রশাসন পড়েছে বেকায়দায়। পরিস্থিতি সামলানোর উপায় খুঁজতে গতকাল বিকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বৈঠক করেন জেলার সিভিল ও পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা। সায়েদুল হক জেলার তিন উপজেলা আশুগঞ্জ, সরাইল ও বিজয়নগরে বৃহস্পতিবার থেকে তার সফর শুরু করেন। এরপরই উত্তেজনা দেখা দেয়। আশুগঞ্জে তার কর্মসূচি চলাকালে কালো পতাকা মিছিল করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। ওইদিনই বিজয়নগর আওয়ামী লীগ হরতাল ঘোষণা করে সায়েদুল হকের সফরের প্রতিবাদে। বিজয়নগর সদর নির্বাচনী এলাকাধীন হলেও সদর সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে মন্ত্রীর অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ করা হয়নি। বৃহস্পতিবার জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সায়েদুল হকের ৩ উপজেলার সফর নিয়ে পত্রিকায় বিবৃতি দেয়া হয়। তাতে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাকর্মীদের পাশ কাটিয়ে মন্ত্রীর বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন ও বিতর্কিত লোকদের নিয়ে সুধী সমাবেশ করার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। কর্মসূচি বন্ধ করার জন্য মন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়। বিবৃতিতে জেলা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মন্ত্রী অশোভন ও সংগঠনবিরোধী বক্তব্য দিয়ে দলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ আনা হয়। বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেছেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী সায়েদুল হককে রোধ করার জন্য যতরকম প্রস্তুতি নেয়ার তারা নিচ্ছেন। জেলা আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপ সায়েদুল হকের সঙ্গে রয়েছে। তাদের অন্যতম জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র মো. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, মন্ত্রী সরকারি সফরে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের সবাই যাবেন। তারা সেখানে সরকারের গুণকীর্তন করবেন। মন্ত্রীর সফর আর সরকারি দলের প্রতিরোধের ঘোষণায় বেকায়দায় পড়েছে জেলার প্রশাসন। জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান বলেছেন, আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান পিপিএম বলেছেন, বিজয়নগরে ২ প্লাটুন বিজিবি, ৫ সেকশন র্যাব, এপিবিএন ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত: