সিএন ডেস্ক :: দিল্লির নিজামুদ্দিনে একটি মসজিদে আয়োজিত তাবলিগ জামাতে অংশ নেওয়া তিন বাংলাদেশির দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের পালওয়াল এলাকার একটি গ্রামে তাদের পরীক্ষা করা হয়। পালওয়ালের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ড. ব্রাহাম দীপ সিন্ধু এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
গত ১ মার্চ দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজ মসজিদে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সংগঠন তাবলিগ জামাতের একটি ধর্মীয় সমাবেশ শুরু হয়। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব ও কিরগিজস্তানের প্রতিনিধিসহ প্রায় দুই হাজার মানুষ ওই আয়োজনে অংশ নেন। ১৫ মার্চ অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরও অনেকে সেখানে থেকে যান।
এরইমধ্যে ওই আয়োজনে অংশ নেওয়া প্রায় চারশ’ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এই সমাবেশ করায় তাবলিগ জামাতের প্রধান মাওলানা সাদসহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ।
ড. সিন্ধু জানান, ১৩-১৫ মার্চ দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজে তাবলিগ জামাতে অংশ নেওয়া ১০ বাংলাদেশিসহ ১২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এদের মধ্যে তিন বাংলাদেশির দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আরও জানান, রোহতাকের পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স-এ এই পরীক্ষা করা হয়। অপর সাত জনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। বাকি দুজনের নমুনা গুরুগ্রামের বেসরকারি ল্যাবে পাঠানো হবে।
ড. সিন্ধু বলেন, আক্রান্ত তিন বাংলাদেশির বয়স ত্রিশের কোটায়। তাদেরকে বেসামরিক হাসপাতালে রাখা হয়েছে। তাবলিগ জামাতে অংশ নেওয়া বাংলাদেশিরা হরিয়ানার পাঁচটি গ্রামের মসজিদে অবস্থান করেছেন। জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য টিমের সদস্যরা পাঁচটি গ্রামে যাচ্ছেন এবং খুঁজে বের করছেন বাংলাদেশিরা যাদের সংস্পর্শে এসেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ভাইরাসের বিস্তাররোধে আমরা গ্রামগুলোর সবাইকে পরীক্ষা করতে বলেছি। ইতোমধ্যে ওই পাঁচটি গ্রামের ৫৬ জনকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। ৯০ জনকে বেসরকারি হাসপাতালে এবং প্রায় ৩০০ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
হাতিন জেলার সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট ভাকিল আহমেদ জানান, তারা পাঁচটি গ্রাম ও গ্রামের সীমানা সিল করে দিয়েছেন।
পাঠকের মতামত: