মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, বান্দরবান প্রতিনিধি ঃ
ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে কর্মী সমর্থকদের মারধর, হয়রানী, এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়া সহ মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি দেয়ায় বান্দরবানের লামা থানা পুলিশের দুই উপ-পরিদর্শকের বিরুদ্ধে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী জাকের হোসেন মজুমদার রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে। অভিযুক্ত হল লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদ নুর ও অপু বড়–য়া।
অভিযোগে জানা যায়, ফাঁসিয়াখীতে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মোঃ জাকের হোসেন মজুমদার নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে ইউনিয়নের পাড়া মহল্লায় ভোটের প্রচারনা চালিয়ে আসছেন। তার গণজোয়ারে ইর্ষান্বিত হয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী খাইরুল বশরের ইশারায় লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক জাহিদ নুর ও অপু বড়–য়া ধানের শীষের কর্মী ও সমর্থকদেরকে গত কয়েকদিন ধরে মারধর, মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিচ্ছে। এমনকি গত ১৪ এপ্রিল মালুম্যা ব্রিকফিল্ড এলাকার চায়ের দোকানদার হোছন, কৃষক তাজেল ও হায়দারনাশী এলাকার বাসিন্দা শিমুল দে কে মারধর করে। এর পরদিন (১৫ এপ্রিল) ইয়াংছা এলাকার বাসিন্দা সাবেক কৃতি ফুটবলার জসিম উদ্দিনকে প্রচারনা বন্ধ করে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেন। অন্যথায় হত্যা মামলায় জাড়ানো হবে বলে হুমকি দেয়। একই দিন সন্ধ্যায় শুকরমারার ঝিরি এলাকার আজগর আলী ও গিলাতলী এলাকার বাসিন্দা মো. ছাদেক ধানের শীষের ভোট চাওয়ায় আটক করেন। পরে মারধর করে ছেড়ে দেয়। ইতিপূর্বে পুলিশের ওই দুই কর্মকর্তা বিএনপি প্রার্থী জাকের হোসেন মজুমদারকেও একই কায়দায় হুমকি প্রদর্শন করে।
ভুক্তভোগী জসিম উদ্দিন আক্ষেপ করে সাংবাদিকদের জানান, গত ১৫ এপ্রিল বিকালে ভোটারদের কাছে গিয়ে ধানের শীষের প্রচারনা করার সময় হঠাৎ লামা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জায়েদ নুর ও অপু বড়–য়া সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যরা তাকে আটক করে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে প্রচারণা বন্ধ করে এলাকা ত্যাগ করার নির্দেশ দেয়।
প্রতিকার চেয়ে অভিযুক্ত দুই উপ-পরিদর্শকের বিরুদ্ধে ফাঁসিয়াখালী ইউপি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার, লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে রবিবার লিখিত অভিযোগ করেছেন প্রার্থী মোঃ জাকের হোসেন মজুমদার।
লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদ নুর বলেন, উল্লেখিত অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। কিছুদিন পূর্বে একই ইউনিয়নের আরেক প্রার্থী খাইরুল বশর এর ছেলে জাকের হোসেন মজুমদারের বিরুদ্ধে থানায় সাধারন ডায়েরি করেছে। এই ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি।
পাঠকের মতামত: