নিউজ ডেস্ক :: আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের পরিবেশ উন্নত করতে না পারলে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ অনিরাপদ বা সি গ্রেড পাওয়া সাত প্রতিষ্ঠানকে আল্টিমেটাম (হুঁশিয়ারি) দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হল- বনফুল অ্যান্ড কোং, প্রিমিয়াম সুইটস, মধুবন, বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভাণ্ডার (লেক সার্কাস), শাহী মিঠাই, রস ফুড অ্যান্ড বেকারি লি., বাঙ্কার্স ক্যাফে অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট।
জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে হোটেল ও রেস্তোরাঁর জন্য গ্রেডিং ব্যবস্থা চালু করে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। ১০টি সূচক বিবেচনায় রেস্তোরাঁর এ মান নির্ধারণ করা হয়। প্রথম পর্যায়ে ঢাকার ৫৭টি রেস্তোরাঁকে এ ব্যবস্থায় গ্রেডিং বা মান অনুযায়ী স্তর বিন্যাস করে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে রোববার (২২ ডিসেম্বর) ৩০টি প্রতিষ্ঠানকে গ্রেডিং করে মান নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে কেউ ‘এ প্লাস’ পায়নি। ১৪টি প্রতিষ্ঠান ‘এ’ পেয়েছে। ৯টি পেয়েছে বি গ্রেড এবং বাকি ৭টি প্রতিষ্ঠান পেয়েছে ‘সি’ তথা সর্বনিম্ন গ্রেড।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩০টির মধ্যে ২৩টি প্রতিষ্ঠানকে মান অনুসারে স্টিকার প্রদান করে নিরাপদ বাংলাদেশ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। এ সময় ‘সি’ গ্রেড পাওয়া ৭টি প্রতিষ্ঠানকে কোনো স্টিকার প্রদান করা হয়নি। তাদের ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারির মধ্যে খাদ্য ব্যবস্থাপনার পরিবেশ উন্নত করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। অন্যথায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন- খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানম, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সৈয়দা সারওয়ার জাহানসহ সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য হোটেল এবং রেস্তোরাঁর মান অনুসারে স্টিকারের নাম দিয়েছে। এর মধ্যে ‘এ প্লাস’ (সবুজ রং) মান- হলো উত্তম, ‘এ’ (নীল) মান- ভালো, ‘বি’ (হলুদ) মান- গড়পড়তা বা মোটামুটি এবং ‘সি’ (কমলা) মান- অনিরাপদ।
পাঠকের মতামত: