ঢাকা,রোববার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় সরকারী জিএমসির দোকানঘর ও একটি পুকুর ইজারায় অনিয়ম-দূর্নীতি!

মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া ::

কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার একমাত্র সরকারী মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিতষ্টান ‘পেকুয়া মডেল সরকারী জিএমসি ইনস্টিটিউশন’র নিজস্ব সম্পত্তি তিনটি দোকান ও একটি পুকুর বছরের পর বছর অনিয়ম-দূর্নীতির মাধ্যমে ইজারা দেওয়া হলেও নিরব রয়েছে খোদ বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ইজারার অনিয়ম-দূর্নীতির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বরাবর গত কিছু দিন পূর্বে ‘আমরা পেকুয়াবাসী’ সংগঠনের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে অভিযোগ দেওয়া হলেও রহস্যজনক কারণে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি কর্তৃপক্ষ। বছরের পর বছর অনিয়ম-দূর্নীতির মাধ্যমে সরকারী স্কুলের দোকান ও পুকুর ইজারা দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বিদ্যালয় কেন্দ্রীক একটি সিন্ডিকেট!

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পেকুয়া উপজেলা সদরে অবস্থিত পেকুয়া মডেল সরকারী জিএমসি ইনস্টিটিউশনের নিজস্ব সম্পত্তি তিনটি মূল্যবান দোকান ও একটি পুকুর দীর্ঘদিন ধরে সরকারী নিয়মানীতির তোয়াক্কা না করেই ইজারা দিয়েছিলেন বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা। সরকারী দোকান ঘর বা পুকুর প্রতি বছর বাংলা সনের শুরুতে বিদ্যালয় গভার্নিং কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ইজারা দেওয়ার সরকারী বিধান রয়েছে। কিন্তু পেকুয়া মডেল সরকারী জিএমসি ইনস্টিটিউশনের তিনটি দোকান ও একটি পুকুর ইজারা দেওয়ার পূর্বে কোন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় ইজারা বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি। সরকারী নিয়মানীতি লংঘন করেই বছরের পর বছর সরকারী উক্ত প্রতিষ্টানের দোকান ও পুকুর ইজারা দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে কোন ধরনের মাথা ব্যথা নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের! এহেন ভূমিকায় সচেতন মহলে নানা সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে।

বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, পেকুয়া জিএমসির তিনটি দোকান ও একটি পুকুর ইজারার ক্ষেত্রে সরকারী নিয়মানীতির ও লংঘন করা হয়েছে। অনেকটা গোপনেই সরকারী স্কুলের তিনটি দোকান ও একটি পুকুর বিগত ১০ বছর ধরে অতি গোপনে বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কতিপয় শিক্ষক তাদের পছন্দের লোকদের ইজারা প্রদান করেই যাচ্ছে। সরকারী স্কুলের দোকান ও পুকুর কোন প্রক্রিয়ায় বর্তমান ভাড়াটিয়া/ইজারাগ্রহীতাদের প্রদান করা হয়েছে? ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে কত লক্ষ সেলামী গ্রহণ করা হয়েছে? গৃহীত সেলামীর টাকা কোথায় জমা করা হয়েছে? মাসিক ভাড়ার টাকা কোথায় জমা হয়? পুকুরটি কত টাকায় ইজারা দেওয়া হয়েছে? টাকা কোথায় জমা করা হয়েছে? কারা এসব ইজারা গ্রহীতা? এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তদন্তপূর্বক অনিয়ম-দূর্নীতি ও বিদ্যালয়ের দায়িত্বশীল কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণ হলে সরকারী বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন অভিভাবক ও স্থানীয় সচেতন মহল।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে পেকুয়া মডেল সরকারী জিএমসি ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক মো: জহির উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কিছু ব্যক্তিদের দোকন ও পুকুর ইজারা দেওয়া হয়েছে। ইজারার পূর্বে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি কোন ধরনের সদুত্তর দিতে পারেনি।

পাঠকের মতামত: