ঢাকা,বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা

পেকুয়া প্রতিনিধি :: কক্সবাজারের পেকুয়ায় উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ও তাঁর তিন ভাইসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা রুজু হয়েছে। পেকুয়া সদর ইউনিয়নের বাইম্যাখালী এলাকার মৃত জাকের আহমদের ছেলে আবদু রাজ্জাক বাদী হয়ে সোমবার রাতে পেকুয়া থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

মামলায় আসামী হওয়া জাহাঙ্গীর আলমের ভাইয়েরা হলেন, মো. আজম, মো. কাইয়ুম ও ওসমান সরওয়ার বাপ্পি। অন্যান্য আসামীরা হলেন, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ওসমান আলী, ইদ্রিস বাবুল, আবুল বশর, পেকুয়ার বাইম্যাখালী এলাকার মিজানুর রহমান কালু, আবদুল মালেক, রেজাউল করিম, আবু ছালেক, আনছার উদ্দিন, ও ফরিদুল ইসলাম।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২৪ অক্টোবর রাতে উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে অপর আসামীসহ ৫০-৬০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পেকুয়া বাজারের ৮টি দোকানঘর ভাঙচুর করে। ওইসময় দোকানের মালিক আবদু রাজ্জাককে মারধর করে দশ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করা হয়।

মামলার আসামী ও উপজেলা যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মো. আজম বলেন, স্থানীয় সাংসদ জাফর আলম পেকুয়া বাজারে নিউ মার্কেট নির্মাণ করার জন্য আমাদের জমি জবর দখল নিতে চাচ্ছে। মামলার বাদী সাংসদের অনুসারী একজন। এরই জের ধরে আমি ও আমার ভাইদের বিরুদ্ধে এটি একটি ষড়যন্ত্রমূলক মামলা।
এব্যাপারে জানতে চকরিয়া-পেকুয়ার সাংসদ জাফর আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয় হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রাজনৈতিকভাবে আমাকে ঘায়েল করতে অতীতেও ষড়যন্ত্র ছিলো, বর্তমানেও তা অব্যাহত আছে। এই মিথ্যা মামলা আমি আইনিভাবে মোকাবিলা করবো।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরহাদ আলী বলেন, আসামীদের ধরতে সম্ভাব্য স্থানে পুলিশের অভিযান চলছে।

পাঠকের মতামত: