ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ার আলোচিত অলি আহমদ হত্যা মামলা, তিন আসামিকে রিমান্ডে পাচ্ছে পুলিশ

পেকুয়া প্রতিনিধি :: কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবনিয়া এলাকার আলোচিত অলি আহমদ হত্যা মামলার তিন আসামিকে রিমান্ডে পাচ্ছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার (২৮জুন) চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. জাহিদ হোসাইন রিমান্ড শুনানী শেষে তিন আসামির মধ্যে দুই আসামি আব্দুল মজিদ (৪০) ও আব্দুল আজিজ ওরফে আবুকে (২২) পাঁচদিন এবং মমতাজ বেগমের (৩৫) তিনদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পেকুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল আমিন বলেন, অলি আহমদ হত্যা মামলার সুনির্দিষ্ট আসামি ছয়জন। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ২-৩জনকে। এরমধ্যে আব্দুল মজিদ, ফাতেমা বেগম, আব্দুল আজিজ আবু, মমতাজ বেগম কারাগারে আছেন। অপর আসামি আমেনা বেগম জামিনে আছেন এবং আব্দুল গণি পলাতক।

এসআই আল আমিন বলেন, ফাতেমা বেগমকে এর আগে দুই দিনের রিমান্ডে আনা হয়েছিল। তাঁর কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে আব্দুল মজিদ, আব্দুল আজিজ আবু ও মমতাজ বেগমের সাতদিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়। গত ২৮ জুন রিমান্ড শুনানী শেষে আব্দুল মজিদ ও আব্দুল আজিজের পাঁচদিন এবং মমতাজ বেগমের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিজ্ঞ আদালত। এসআই আল আমিন বলেন, আজ রোববার কক্সবাজার কারাগার থেকে তিন আসামিকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হবে।

মামলার এজাহার, পেকুয়া থানা পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন বলেন, গত ৫ মার্চ সকাল সাড়ে আটটার দিকে শিলখালীর জারুলবনিয়া এলাকার সেগুনবাগিচার উত্তর আন্ধারী ফাইকেরঘোনা এলাকায় প্রবাসী অলি আহমদকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সর্বস্তর থেকে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। লোমহর্ষক ভিডিও চিত্রে সবার মধ্যে সহমর্মিতা ও সহানুভুতি দেখা দেয়।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি উঠে। ঘটনার দিন পুলিশ ফাতেমা বেগমকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

মামলার বাদি ও নিহতের বড় ভাই সাহাব উদ্দিন বলেন, আমার ভাইকে যাঁরা প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে আমি তাঁদের কঠোর বিচার চাই। কারা, কিভাবে হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছে সবই ভিডিও চিত্রে ধারণ আছে। এছাড়া এঘটনার শত শত প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। তাই ঘটনার মূল রহস্য ও জড়িতদের চিহ্নিত করতে বেগ পেতে হবে না পুলিশকে।

বাদি সাহাবউদ্দিনের আশা, রিমান্ডে আসামিদের কাছ থেকে হত্যার মুল রহস্য উৎঘাটন করতে পারবে পুলিশ। এতে তাঁর ভাই হত্যার সঠিক বিচার পাবেন তাঁর পরিবার।

পাঠকের মতামত: