বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে বৃহস্পতিবার হামলায় নিহত উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমার শেষকৃত্যে যোগ দিতে তার কিছু সমর্থক পাশের জেলা খাগড়াছড়ি থেকে গাড়িতে করে আসছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, তাদের গাড়ি রাঙামাটির ঠ্যাঙ্গালছড়ি এলাকায় পৌঁছুলে গাড়িতে ওঁৎ পেতে থাকা লোকজন গুলি শুরু করে।
জেলার পুলিশ সুপার আলমগির কবির বিবিসিকে বলেন, গাড়িটিকে ‘অ্যামবুশ করা হয়’ এবং ‘ব্রাশফায়ার’ করা হয়।
হামলায় গাড়িটি পাহাড়ে ধাক্কা খেয়ে উল্টে গেলে ঘটনাস্থলে তিনজন মারা য়ায়। পরে আহতদের আরো দুজনের মৃত্যু হয় হাসপাতালে।
নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমার হত্যাকাণ্ডের পর থেকে রাঙামাটিতে পরিস্থিতি থমথমে ছিল।
স্থানীয় ঐ সাংবাদিক জানিয়েছেন, শুক্রবারের হত্যাকাণ্ড পরিস্থিতিকে আরো ঘোলাটে করে তুলতে পারে।
পার্বত্য এলাকার পাহাড়িদের প্রধান দুটি সংগঠন জনসংহতি সমিতি এবং ইউপিডিএফের মধ্যে অন্তর্কলহ সম্প্রতি চরমে উঠেছে।
পুলিশের ধারণা, বৃহস্পতিবার উপজেলা চেয়ারম্যানের হত্যাকাণ্ড এবং আজকের (শুক্রবারের) হত্যাকাণ্ড ঐ অন্তর্কলহের পরিণতি।
পাঠকের মতামত: