ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

পানির নিচে ১৩ ঘণ্টা যেভাবে বেঁচে ছিলেন লঞ্চযাত্রী সুমন

অনলাইন ডেস্ক :: রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চডুবির ১৩ ঘণ্টা পর সুমন ব্যাপারী নামে এক ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে পানির নিচে তিনি এতো সময় কীভাবে বেঁচে ছিলেন স্বাভাবিকভাবে এ নিয়ে প্রশ্ন জাগতে পারে।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন জানান, সাধারণত পানির নিচে ডুবে গেলে যে কোনো মানুষ এক মিনিট থেকে সর্বোচ্চ দেড় মিনিটের মধ্যে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এটাই স্বাভাবিক।

তিনি বলেন, সকাল ৯টায় ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় মর্নিং বার্ড নামক ছোট্ট লঞ্চটি কয়েক সেকেন্ড সময়ের মধ্যে পানিতে তলিয়ে যায়। লঞ্চটি পানির নিচে উল্টে যাওয়ায় বাতাস আটকে থাকে অর্থাৎ এয়ার পকেট তৈরি হয়। সম্ভবত সুমন যেখানে ছিলেন সেখানে পানি ঢোকেনি এবং এয়ার পকেট থেকে অক্সিজেন নিয়েই বেঁচে ছিলেন। এটাই একমাত্র কারণ। এছাড়া দ্বিতীয় কোনো কারণ নেই।

এর আগে রাত সোয়া ১০টার দিকে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছিল, একপাশ একটু পানির উপরেও উঠানো হয়েছিল। ঠিক ওই সময় একজনকে দেখতে পায় ডুবুরি দল। পরে সুমন নামে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।সোমবার সকাল পৌনে ৮টায় অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে মুন্সিগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে মর্নিং বার্ড লঞ্চটি। সদরঘাটে ভেড়ানোর আগ মুহূর্তে চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ লঞ্চটি ধাক্কা দিলে সেটি ডুবে যায়। এ সময় লঞ্চে থাকা কয়েকজন যাত্রী সাঁতরে উঠতে পারলেও এ পর্যন্ত ৩২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: