নিউজ ডেস্ক :: নিশ্চিত মনোনয়ন নিয়ে শংকিত অনেক প্রার্থী। কক্সবাজারের ৪টি আসনের মধ্যে আওয়ামীলীগ এবং বিএনপির বেশ কয়েকজন প্রার্থীর কর্মী সমর্থক এবং সচেতন মহলের মতে এখনো মনোনয়ন নিয়ে শংকিত প্রার্থীরা। ৯ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের আগ মুহুর্ত পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারছে না কর্মী সমর্থকরা। বিশেষ করে কক্সবাজার সদর-রামু আসন, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসন এবং চকরিয়া পেকুয়া আসনে যে কোন মূহুর্তে নাটকিয় ভাবে প্রার্থী বদল হতে পারে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
বর্তমান প্রেক্ষাপট অনুযায়ী আসন্ন সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজারের ৪ টি আসনে আওয়ামীলীগ এবং বিএনপির প্রার্থী চুড়ান্ত করা হয়েছে। এবং মধ্যে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া পেকুয়াতে) আওয়ামী লীগ থেকে টিকেট নিশ্চিত করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম, একই আসনে বিএনপির প্রার্থী সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাউদ্দিন আহামদের স্ত্রী সাবেক সংসদ সদস্য এড. হাসিনা আহামদ তবে এখানে শেষ মুহুর্তে নাটকীয়তার আভাস আছে বলে মনে করছেন অনেকে। তাদের মতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী জাতিয় সংসদ নির্বাচনেও এই আসনে আওয়ামী লীগ থেকে জাফর আলমকে প্রার্থী করা হয়েছিল তবে জোটের হিসাব নিকাশে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে হয় জাফর আলমকে তার বদলে এই আসন থেকে এমপি হন জাতিয় পার্টির মোহাম্মদ ইলিয়াছ, তাই এবারো জাতিয় পার্টি আসনটির জন্য মরণ কামড় দিতে বসে আছে বলে কানাঘুসা চলছে। তবে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তন হওয়ার সম্ভবনা খুব একটা দেখছেন না ভোটাররা। অন্যদিকে নাটকিয়তায় ভরা আছে কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসন এখানে বর্তমানে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন আশেক উল্লাহ রফিক অপর দিকে ২৭ নভেম্বর দুপুরে মনোনয়ন পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য আলমগীর মোঃ মাহফুজুল্লাহ ফরিদ। তবে এখনো মাঠে আসেননি তিনি। এদিকে মহেশখালীর বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক সচেতন মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে এই আসনে কোন প্রার্থী এখনো নিশ্চিত মনোনয়ন পেয়েছে সেটা বলতে পারবে না। কারন জনমত হিসাবে যদি বিএনপি থেকে এখনো আলমগীর ফরিদ ছাড়াও জোটগত হিসাবে এখানে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক সংসদ হামিদুর রহমান আজাদের নাম বেশি করে উঠে আসছে তাহলে এখন দেখার বিষয় প্রকৃত ভাবে ধানের শীষ নিয়ে কে নির্বাচনী মাঠে থাকে। নাটকের এখানে শেষ নয় শুনা যাচ্ছে যদি জামায়াত নেতা হামিদুর রহমান আজাদ নির্বাচন করতেও না পারে তাহলেও জামায়াত চট্টগ্রামের বা কক্সবাজারের তাকে দিয়ে নির্বাচন করাতে চায়। মোট কথা কোন ভাবেই তারা জামায়াতের আসন হাতছাড়া করতে চাইছে না।
এদিকে ইতোমধ্যে জাতিয় পার্টি থেকেও মহিবুল্লাহকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। যেহেতু জাতিয় পার্টি বর্তমান সরকারের একটি বড় শরীক দল তাই তাদের শেষ চাওয়া কি সেটা এখনো বুঝা যাচ্ছে না।এদিকে নাটকিয়তার শেষ নেই কক্সবাজার-৩ (সদর রামু) আসনের মনোনয়ন নিয়ে ২৫ নভেম্বর আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে জেলার ৪ টি আসনের মধ্যে ৩ টি আসনের মনোনয়ন দেওয়া হলেও ঝুলে থাকে কক্সবাজার সদর আসন। সে হিসাবে গত কয়েক দিন কক্সবাজার সদর আসনে জাতিয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন বাবলু প্রার্থী হচ্ছেন এমন খবরে ৭২ ঘন্টার ¯œায়ু যুদ্ধ গেছে কক্সবাজার-রামুর ভোটারদের উপর। পরে অবশ্য আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে সাইমুম সরওয়ার কমলকে মনোনয়ন দেওয়া হলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়, তবে এখানেও আছে সংশয়। বেশির ভাগ নেতাকর্মীদের দাবী আমরা ঠিকমত মাঠে নামিনি কারন যেকোন মূহুর্তে প্রার্থী পরিবর্তন হতে পারে বলে সবার মধ্যে ধারনা কাজ করছে। তবে এখনো অনেক সংবাদপত্র ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর পাওয়া যাচ্ছে জাতিয় পার্টির প্রার্থী জিয়াউদ্দিন বাবলু এখনো কক্সবাজার-৩ আসন থেকে জোটের প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই অনেকে সেটা নিয়ে শংকিত।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার জেলা জাতিয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুফিজুর রহমান বলেন, গত বারে আমাদের একটি আসন ছিল তাই জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে এবার ও একটি আসন থাকার জন্য আমাদের দাবি আছে। এবং এখনো পর্যন্ত আমরা সেই দাবীতে অবিচল আছি। তবে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ যা সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই আমরা মেনে নেব।
এদিকে জেলা জামায়াতের আমীর মৌলানা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমি যতটুকু জানি কক্সবাজার-২ আসনটি জামায়াতকে দেওয়ার কথা। এখনো পর্যন্ত আমরা জানি কক্সবাজারের সেই আসনটি আমাদের জন্য আছে। তবে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে যদি জোটগত ভাবে ভিন্ন কোন সিন্ধান্ত হয় সেটা আমি বলতে পারবো না।
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, মনোনয়ন সেটা সম্পূর্ন কেন্দ্রীয় বিষয় এখানে আমি কোন মন্তব্য করতে চাই না।
অন্যদিকে জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সাংসদ শাহজাহান চৌধুরী বলেন, আমার জানা মতে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের কোন সম্ভবনা নেই। দল নিবিড় ভাবে যাচাই বাছাই করে জোটগত ভাবে সিন্ধান্ত নিয়ে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। তার পরও যদি কেন্দ্র কিছু করতে চায় সেটা উনাদের সিদ্ধান্ত।
প্রকাশ:
২০১৮-১১-২৮ ০৯:৩২:৫২
আপডেট:২০১৮-১১-২৮ ০৯:৩২:৫২
- পেকুয়ায় নিখোঁজ স্কুল শিক্ষকের সন্ধান মেলেনি
- চকরিয়ায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করতে হবে -জামায়াত
- পেকুয়ায় ট্রাক চাপায় মুদি দোকানী নিহত
- খুটাখালীতে সকড় সংস্কারের পূর্বেই ইটগুলো গায়েব নীরব
- তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে গুজব প্রতিরোধ সম্ভব” –ইউএনও চকরিয়া
- চকরিয়ায় সেনা কর্মকর্তা হত্যা: মূল হোতা নাছির উদ্দিন ও সহযোগী ডাকাত এনাম গ্রেফতার
- এডভোকেট মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান এর ২৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ ক্রোড়পত্র
- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের সাথে চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ শিক্ষকদের মতবিনিময়
- নিপীড়িত গরীব দুঃখী মেহনতি মানুষের মুক্তির জন্য জামায়াত কর্মীদের বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে -আবদুল্লাহ আল ফারুক
- ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিমের পরিবারের সাথে সাক্ষাতে সালাউদ্দিন আহমদ
- চকরিয়ায় সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তানজিম সরোয়ার খুনের ঘটনায় দুইটি মামলা
- ডুলহাজারায় সেনা কর্মকর্তা তানজিম হত্যার বিচার চেয়ে বিক্ষোভ
- চকরিয়ায় ডাকাতের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হলেন তরুণ সেনা কর্মকর্তা তানজিন
- চকরিয়ার যুবলীগ নেতা কছিরের রয়েছে সম্পদের পাহাড়
- লেফটেন্যান্ট তানজিম হত্যার ৬ সন্ত্রাসীকে আটক করেন সেনাবাহিনী
- চকরিয়ায় আ,লীগের প্রভাবে দখল হওয়া বাজার ফিরে পেতে চায় ব্যবসায়ীরা
- ফাইতং ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবীতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
- সেনা কর্মকর্তা তানজিম হত্যা ও ডাকাতি,খুন,গুমের প্রতিবাদে খুটাখালী বহলতলীবাসী
- ডুলাহাজারার সংরক্ষিত বনে ডাকাতের আস্তানা, সন্ধ্যার পর শুরু হয় লুটতরাজ
- ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিমের পরিবারের সাথে সাক্ষাতে সালাউদ্দিন আহমদ
- চকরিয়ায় নারী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভায় -জেলা তথ্য অফিসের
- চকরিয়ায় ডাকাতের গুলিতে লেফটেন্যান্ট তানজিম খুন, মায়ের আহাজারী, শোকের মাতম, জানাযা সম্পন্ন
পাঠকের মতামত: