ঢাকা,বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

নির্বাচনে অংশ নেবেন হেফাজতের ৫০ নেতা

hef নিউজ  ডেস্ক ।।

আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন হেফাজতে ইসলামের অন্তত ৫০ জন কেন্দ্রীয় নেতা। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত বিভিন্ন ইসলামিপন্থী দলের অধীনে তারা বিভিন্ন আসন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। যদিও কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক মৌলবাদী এ ইসলামিপন্থী গ্রুপটি দাবি করে আসছে, তারা অরাজনৈতিক সংগঠন। আর ইতোমধ্যে গ্রুপটির কয়েকজন সদস্য বিভিন্ন সময় স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে অংশ নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। ফলে দলটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ইসলামিপন্থী রাজনীতিবিদরা হেফাজত ইসলামকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভোট ব্যাংক হিসেবে দেখছেন। গ্রুপটির পক্ষ থেকে বারবারই বলা হচ্ছে, তাদের দলের কোনও নেতার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা নেই। যদিও বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়নে গ্রুপটির কেন্দ্রীয় নেতারা নীরবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছেন।

সংগঠনটির একটি সূত্র জানিয়েছে, সংগঠনটির ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়নে নির্বাচনে অংশগ্রহণকে একটি সুযোগ হিসেবে দেখছেন নেতারা। ২০১০ সালে বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলাম গঠন করা হয়। চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসাকে সংগঠনটির হেডকোয়ার্টার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এরপর ২০১৩ সালে শাহবাগ আন্দোলনের বিরোধীতা করে হেফাজতে ইসলাম পরিচিতি পায়। এরপর থেকে নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা নিষিদ্ধ করা ও নাস্তিকদের মৃত্যুদণ্ডের দাবিসহ ১৩ দফা দাবি জানিয়ে আসছে তারা। সংগঠনটির আমির শাহ আহমেদ শফি বিভিন্ন সময় বলেছেন, ‘হেফাজতে ইসলাম কোনও রাজনৈতিক দল নয় এবং আমরা কোনও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো না।’

কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে, হেফাজত ইসলামের কয়েকজন নেতা কেন্দ্রীয় নির্দেশে বিভিন্ন সরকারি অফিস ও স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। যাদের মধ্যে ২০১৪ সালে হাটহাজারী উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সংগঠনটির চট্টগ্রামের হাটহাজারী পৌরসভা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন মুনির।

হেফাজত ইসলামের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে সংগঠনটি দেখাতে চায়, তারা সাধারণ মানুষের মধ্যে কত জনপ্রিয়।’ যেসব ইসলামি দল থেকে হেফাজত নেতারা প্রার্থী হতে চান,সেগুলো হলো- নিজাম-ই-ইসলামী পার্টি, জমিয়াত উলেমা-ই-ইসলাম, খেলাফত আন্দোলন, খেলাফত মজলিশ (ইসহাক), খেলাফত মজলিশ (হাবিবুর রহমান), খেলাফত ইসলামী এবং ইসলামী ঐক্যজোটের দুটি অংশ।

সূত্র জানিয়েছে, হেফাজত ইসলাম এখন ৫০টি আসনে তাদের প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। ইতোমধ্যে কয়েকজনের নাম বিবেচনাধীন আছে। তবে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধ এবং মামলার অভিযোগ খতিয়ে দেখছে সংগঠনটি।

হেফাজতের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা

হেফাজতের একজন কেন্দ্রীয় নেতা জানিয়েছেন, যারা নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক তাদের নাম চূড়ান্ত করবেন সংগঠনটির প্রধান শাহ আহমাদ শফি এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা। কারণ কেন্দ্রীয় এই নেতাদের সঙ্গে সরকার, বিএনপি ও অন্যান্য বড় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ আছে। তিনি আরও জানান, সংগঠনটির নেতারা অন্য দলের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিলেও তাদের হেফাজতের পরিচয় বহাল থাকবে বলে আশা করছি।

জানা গেছে, সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতারা ইতোমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে মিটিং করেছেন। এছাড়া গ্রুপটি জনমত জরিপের চেষ্টা করছে। এমনকি আগামী নির্বাচনকে লক্ষ্য করে একটি কমিটিও গঠনের পরিকল্পনা করছে তারা।

সূত্র জানায়, যারা হেফাজত ইসলামের ১৩ দফা দাবি গ্রহণ করবে এবং তা বাস্তবায়নে কাজ করবে, শুধুমাত্র তাদেরই সংগঠনের পক্ষে থেকে নির্বাচন করার অনুমতি দেওয়া হবে। আগামী নির্বাচনে কমপক্ষে ৫০টি আসনে বিজয়ী হওয়ার পরিকল্পনা করছে গ্রুপটি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হেফাজতের আরেকজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘হেফাজতের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অন্যতম লক্ষ্য ১৩ দফা দাবি সংসদে তোলা। কারণ অনেক দাবি বাস্তবায়নে পৃথক আইন করার দরকার রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদি সংসদে আমাদের লোক থাকে, তাহলে তারা সংসদে আমাদের ১৩ দফা দাবি উত্থাপন করতে পারবেন।’

সূত্রটি জানিয়েছে, সংগঠনটি এমন নেতাদের চাচ্ছে যারা ভবিষ্যতে হেফাজতের জন্য কাজ করতে দায়বদ্ধ থাকবে। আগামী নির্বাচনে হেফাজত নেতাদের অংশগ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসলামী ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক এবং হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মুফতি ফায়জুল্লাহ বলেন, ‘আমি হেফাজত ইসলামের প্রার্থী নই। তবে ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী। আমি চট্টগ্রাম-৬ (রাঙ্গুনিয়া) আসন থেকে নির্বাচনে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘হেফাজত নেতা হিসেবে আমরা আমাদের পরিচয় লুকানোর চেষ্টা করছি না। কিন্তু আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক প্লাটফর্ম থেকে নির্বাচন করবো।’ একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নির্বাহী সভাপতি শাহরিয়ার কবীর বলেন, ‘হেফাজত নেতারা সংসদে গেলে সেটা হবে ‘অপরাধীদের’ সংসদ। আমরা এ অবস্থা চাই না এবং এ বিষয়টি নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করছি, সরকার এ বিষয়টি বিবেচনায় রাখবে।’ সূত্র জানিয়েছে, ইসলামী ঐক্যজোট থেকে যেসব হেফাজত নেতা নির্বাচনে অংশ নেবেন, তারা নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের সঙ্গে দর কষাকষি করতে পারেন। যদিও গত বছর সংগঠনটি বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট ত্যাগ করে। ইসলামী ঐক্যজোটের একটি সূত্র জানিয়েছ, তারা সংসদে ১০টি আসনের জন্য সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে লবিং করছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘হেফাজত নেতারা বিএনপির সঙ্গে থাকতে চান এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। তারা আগেও নির্বাচন করেছিল। এবারও যদি তারা নির্বাচন করতে চায়, তবে তারা বিএনপির টিকিট নিতে চাইবে না, আওয়ামী লীগ থেকে টিকিট নিতে চাইবে এবং আওয়ামী লীগের উচিত হবে তাদের টিকিট দেওয়া।’ এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।

 হেফাজতের ১৩ দফা দাবি

১. সংবিধানে ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন এবং কোরআন-সুন্নাহবিরোধী সব আইন বাতিল করা।

২. আল্লাহ্, রাসুল (সা.) ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুৎসারোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস।

৩. কথিত শাহবাগী আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী স্বঘোষিত নাস্তিক-মুরতাদ এবং প্রিয় নবী (সা.)-এর নামে জঘন্য কুৎসা রটনাকারী ব্লগার ও ইসলামবিদ্বেষীদের সব অপপ্রচার বন্ধসহ কঠোর শাস্তিদানের ব্যবস্থা করা।

৪. ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতার নামে সব বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যাভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্বালনসহ সব বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করা।

৫. ইসলামবিরোধী নারীনীতি, ধর্মহীন শিক্ষানীতি বাতিল করে শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা।

৬. সরকারিভাবে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা এবং তাদের প্রচারণা ও ষড়যন্ত্রমূলক সব অপতৎপরতা বন্ধ করা।

৭. মসজিদের নগর ঢাকাকে মূর্তির নগরে রূপান্তর এবং দেশব্যাপী রাস্তার মোড়ে ও কলেজ-ভার্সিটিতে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন বন্ধ করা।

৮. জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে নামাজ আদায়ে বাধাবিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ এবং ওয়াজ-নসিহত ও ধর্মীয় কার্যকলাপে বাধাদান বন্ধ করা।

৯. রেডিও-টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দাড়ি-টুপি ও ইসলামি কৃষ্টি-কালচার নিয়ে হাসিঠাট্টা এবং নাটক-সিনেমায় নেতিবাচক চরিত্রে ধর্মীয় লেবাস-পোশাক পরিয়ে অভিনয়ের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের মনে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাব সৃষ্টির অপপ্রয়াস বন্ধ করা।

১০. পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত এনজিও এবং খ্রিস্টান মিশনারিগুলোর ধর্মান্তকরণসহ সব অপতৎপরতা বন্ধ করা।

১১. রাসুলপ্রেমিক প্রতিবাদী আলেম-ওলামা, মাদ্রাসার ছাত্র ও তৌহিদি জনতার ওপর হামলা, দমন-পীড়ন, নির্বিচার গুলিবর্ষণ এবং গণহত্যা বন্ধ করা।

১২. সারা দেশের কওমি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক, ওলামা-মাশায়েখ ও মসজিদের ইমাম-খতিবকে হুমকি-ধমকি, ভয়ভীতি দানসহ তাদের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র বন্ধ করা।

১৩. অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত সব আলেম-ওলামা, মাদ্রাসাছাত্র ও তৌহিদি জনতাকে মুক্তিদান, দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং আহত ও নিহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণসহ দুষ্কৃতকারীদের বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।

হেফাজত ইসলামের সম্ভাব্য প্রার্থী

১. হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা ও নেজাম-ই-ইসলাম পার্টির নির্বাহী সভাপতি মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী চট্টগ্রাম-১৫ (বাঁশখালী) আসন থেকে নির্বাচন করতে পারেন। এর আগে তিনি ইসলামী ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তখন সংগঠনটির তৎকালীন প্রধান মুফতি ফজলুল হক আমিনী সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে তাকে দল থেকে বাদ দেন।

২. ইসলামী ঐক্যজোটের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং চট্টগ্রাম ইউনিটের সভাপতি মহিউদ্দিন রুহি চট্টগ্রাম-৪ (হাটহাজারি) থেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন। তিনি হেফাজত ইসলামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং দলের ক্ষমতাবান নেতা।

৩. ইসলামী ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক এবং হেফাজতের সেন্ট্রাল কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুফতি ফায়জুল্লাহ চট্টগ্রাম-৬ (রাঙ্গুনিয়া) আসন থেকে নির্বাচন করবেন।

৪. ইসলামী ঐক্যজোটের সভাপতি এবং হেফাজতের সেন্ট্রাল কমিটির উপদেষ্টা মওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী নরসিংদী-১ আসন থকে নির্বাচন করতে পারেন।

৫. জমিয়াত ইলেমা-ই-ইসলামের নির্বাহী সভাপতি এবং হেফাজত ইসলামের নায়েব-ই-আমির মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাস যশোর-৫ আসন থেকে নির্বাচন করতে পারেন। তার বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধ করার অভিযোগ আছে। এমনকি তিনি কয়েকবার বিভিন্ন মেয়াদে জেলেও ছিলেন।

৬. ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম সম্পাদক এবং হেফাজতের গাজীপুর ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক মওলানা ফজলুর রহমান গাজীপুর-১ আসন থেকে নির্বাচন করতে পারেন। ২০১৩ সালে গাজীপুরে হেফাজত ইসলামের আন্দোলনে প্রধান ভূমিকা পালন করেন এবং সরকার উৎখাতের ঘোষণা দেন।

৭. ইসলামী ঐক্যজোটের সাবেক প্রধান মুফতি ফজলুল হক আমিনীর ছেলে ও দলের ভাইস-চেয়ারম্যান এবং হেফাজতের ঢাকা সিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত আমিনী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে নির্বাচন করতে পারেন। লালবাগে তার মাদ্রাসা হেফাজতের ঢাকা ইউনিটের হেডকোয়ার্টার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

৮. ইসলামী ঐক্যজোটের অফিস সেক্রেটারি ও হেফাজতের সহকারী সাধারণ সম্পাদক মুফতি আলতাফ হোসেন কুমিল্লা-১ আসন থেকে নির্বাচন করতে পারেন। তিনি সরকারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত এবং সরকার, হেফাজত ও ইসলামী ঐক্যজোটের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনে ভূমিকা পালন করেন।

৯. ইসলামী ঐক্যজোটের কেন্দ্রীয় নেতা ও হেফাজতের নবীনগর ইউনিটের সভাপতি মওলানা মেহেদী হাসান ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসন থেকে নির্বাচন করতে পারেন। তিনি ছাত্র জীবন থেকে ইসলামী ঐক্যজোটের সঙ্গে আছেন এবং নবীনগরের সম্পদশালী ব্যবসায়ী।

১০. ইসলামী ঐক্যজোটের ভাইস-চেয়ারম্যান ও হেফাজতের কেন্দ্রীয় নায়েব-ই-আমির মওলনা আব্দুল হামিদ মুন্সিগঞ্জ-১ থকে নির্বাচন করবেন। তিনি এলাকায় মূলত ‘মধুপুর পীর’ নামে পরিচিত। ২০১৩ সালে হেফাজতের আন্দোলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

পাঠকের মতামত: