বান্দরবান প্রতিনিধি ::
বান্দরবান জেলায় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও প্রকাশ্যে শঙ্খ নদী ও পাহাড়ি গিরিঝর্ণা থেকে বেপরোয়া বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকায় দ্রুত পরিবেশ বিপর্যয় হচ্ছে।
জেলার রুমা, রোয়াংছড়ি, থানচি এবং বান্দরবান উপজেলার কাইচতলী এলাকায় শঙ্খ নদী ও পাহাড়ি গিরিঝর্ণা থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। পানির প্রধান উৎস নদী ও পাহাড়ি গিরিঝর্ণার তলদেশে মজুদ বালুরস্তর। অবাধে বালু উত্তোলন,মজুদ এবং কথিত উন্নয়ন কাজের নামে বালু পাচারের কারণে পরিবেশ দ্রুত বিপর্যস্ত হচ্ছে।
জানা গেছে, রুমা উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বিপুল বালু জব্দ করে এবং জরিমানাও আদায় করা হয়। তবুু থামেনি বালু উত্তোলন। রুমা উপজেলার রুমাচর গ্রামে বিস্তীর্ণ নদীরচর এলাকায় ৩টি স্কেভেটর ব্যবহার করে বালুদস্যুরা শঙ্খ নদী থেকে বালু উত্তোলন, মজুদ এবং পাচার কাজ দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছে।
অভিন্ন কায়দায় বান্দরবান সদর উপজেলার সূয়ালক ইউনিয়েনের কাইচতলী এলাকার পাহাড়ি গিরিঝর্ণা থেকেও অবাধে বালু উত্তোলন এবং পাচার কারবার চলছে। সেখানে পাহাড়ি গিরিঝর্ণার পানি দ্রুত কমে যাচ্ছে। ফলে স্থানীয়রা পানির তীব্র সংকটে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। সুয়ালক ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন, সচেতন নাগরিক কামাল উদ্দিন এবং মনজুর হোসেন জানিয়েছেন, দ্রুত সময়ের এসব বালু উত্তোলন কার্যক্রম বন্ধ করা না হলে অচিরেই পানিশূন্য হয়ে পড়বে পাহাড়ি গিরিঝর্ণাসমূহ।
রুমা এবং সদর উপজেলা প্রশাসন কর্মকর্তারা বলছেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও পাচার বিষয়ে অভিযোগ পাবার পর প্রশাসন থেকে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
পাঠকের মতামত: