ডেস্ক নিউজ :: দিল্লি সহিংসতার ঘটনায় মোদি সরকারকে তুলোধুনো করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। একই সঙ্গে দিল্লির সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর হামলার ঘটনাকে পরিকল্পিত গণহত্যা বলেও মন্তব্য করেন মমতা।
সোমবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে এক সভায় দলীয় কর্মসূচি ঘোষণার সময় ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপিকে একহাত নেন মমতা। তার অভিযোগ, দিল্লিতে গুজরাট স্টাইলে দাঙ্গা ছড়ানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে মোদি মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় গুজরাট প্রদেশের সংখ্যালঘু মুসলিমদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ দাঙ্গা ছড়িয়ে দেয়া হয়। ওই দাঙ্গায় তখণ ১ হাজারের বেশি মুসলিম নিহত হয়েছিল।
দিল্লির ঘটনায় মর্মাহত তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দিল্লির ঘটনা পরিকল্পিত গণহত্যা, পরে এটিকেই সাম্প্রদায়িক হিংসা বলে চালানো হয়।’ একইসঙ্গে দিল্লির সংঘর্ষকে ধিক্কারজনক বলেও মন্তব্য করেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
দিল্লির সংঘর্ষের ঘটনায় কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর পাশাপাশি দলের নেতা-কর্মীদেরও সজাগ থাকতে বার্তা দেন মমতা। দলীয় নেতা-কর্মীদের তার পরামর্শ, ‘দিল্লির নেতাদের দেখে ঔদ্ধত্য শিখবেন না। বিজেপি পরিকল্পনা করে দিল্লিতে দাঙ্গা করেছে।’
রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই বিজেপি রাজধানীতে সংঘর্ষ বাধিয়েছে বলেও অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাজধানী দিল্লিতে এত বড় সংঘর্ষ হলেও সেই ঘটনা নিয়ে বিজেপি নেতারা দুঃখপ্রকাশের কোনও প্রয়োজন অনুভব করেননি বলেওে মোদির দলের তীব্র নিন্দা করেছেন মমতা।
একইসঙ্গে দিল্লিতে সংঘর্ষের জেরে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোরও আশ্বাস দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েনকে এব্যাপারে তৎপর হতে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে, দিল্লির সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬ হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৩ শতাধিক মানুষ। তারা দিল্লির একাধিক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেকের শরীরেই বুলেটের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
সূত্র: কলকাতা টুয়েন্টি ফোর
পাঠকের মতামত: