ঢাকা: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যার ঘটনায় কিছু স্বার্থান্বেষী মহল সেনাবাহিনী সম্পর্কে অনুমান নির্ভর বক্তব্য প্রদান/প্রচার করছে এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছাড়ানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর এ অভিযোগ করে।
আইএসপিআর জানায়, গত ২০ মার্চ রাত আনুমানিক ১১ ঘটিকায় কুমিল্লা সেনানিবাসের সীমানা সংলগ্ন এলাকায় সোহাগী জাহান তনুর মৃতদেহ পাওয়া যায়। দেশের প্রচলিত আইনানুযায়ী তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। এরই মধ্যে জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন, আইন ও সালিশ কেন্দ্র এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং তনুর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী প্রথম থেকেই সব তদন্তকারী সংস্থাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা আন্তরিকতার সঙ্গে প্রদান করছে। অথচ কিছু স্বার্থান্বেষী মহল এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেনাবাহিনী সম্পর্কে অনুমান নির্ভর বক্তব্য প্রদান/প্রচার করছে এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছাড়ানোর চেষ্টা করেছে যা মোটেই কাম্য নয়।
আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সোহাগী জাহান তনুর বাবা মো. ইয়ার হোসেন বিগত ৩০ বছর ধরে কুমিল্লা সেনানিবাস ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের একজন বেসামরিক কর্মচারী, যিনি আমাদের সেনাপরিবারেরই সদস্য এবং তনু কুমিল্লা সেনানিবাসে বড় হয়েছেন, ও আমাদেরই সন্তান। তার এহেন মর্মান্তিক মৃত্যুতে প্রতিটি সেনাসদস্য দারুণভাবে ব্যথিত ও মর্মাহত। সেনাবাহিনী জনসাধারণেরই অংশ এবং দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এ ব্যাপারে সবার দায়িত্বশীল বক্তব্য/প্রচার একান্তভাবে কাম্য। সেনাবাহিনীও প্রত্যাশা করে দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হোক। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তদন্ত প্রক্রিয়ায় আন্তরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার জন্য দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছে।”
পাঠকের মতামত: