ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

জলখেলী উৎসব মেতে উঠছে পাহাড়ীরা

বান্দরবান প্রতিনিধি ::::
বান্দরবানে পাহাড়ী সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই উপলক্ষে শুত্র“বার বেলা ৩টা বান্দরবান রাজার মাঠ ,সদর উপজেলার রেইছা .সুয়ালক .মাঝের পাড়া এবং,রোয়াংছড়ি উপজেলায় মাঠে দুদিন ব্যাপী জলখেলী উৎসব পানি খেলায় মেতে উঠছে তরুন-তরুনীরা। ছোট-বড় কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে গ্রামের পাহাড়ী তরুন-তরুনীরা পানি খেলায় অংশ নেয়। সাংগ্রাই উৎসবের মূল আকর্ষণ-জলখেলী বা মৈত্রী পানি বর্ষণ খেলায় বিবাহিতরা অংশ নিতে পারে না। মারমা তরুন-তরুণীরা একে অপরের গায়ে পানি ছিটিয়ে ভাবের আদান প্রদান করেন। জলখেলী উৎসবের মাধ্যমে মারমা তরুন-তরুণীরা সর্ম্পকের সেতু বন্ধন তৈরি করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। পরে পাহাড়ী সম্প্রদায়ের সাংস্কতিক অনুষ্টান অনুিষ্টত হয় রাজবাড়ি মাঠে অতিথি ছিলেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা পৌর মেয়র ইসলাম বেবী,পাবত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষী পদ দাশসহ প্রশাসনের কমর্কতারা উপস্থিত ছিলেন॥্ এছাড়া ১৩থেকে পাড়া মহল্লায় পিঠা তৈরি, ঘিলা খেলা, বৌদ্ধ মূর্তি স্নান, প্রদীপ প্রজ্জলন, বয়স্ক পূজা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজন। এসব অনুষ্ঠান দেখতে সারা দেশ থেকে হাজার – হাজার পর্যটক ভীড় করছে এ এলাকা গুলোতে
জানাগেছে, বর্ষ বরণ ও বর্ষ বিদায় উৎসবকে পাহাড়ী জনগোষ্ঠীরা ভিন্নভিন্ন নামে পালন করে। মারমা ভাষায় সাংগ্রাই, ত্রিপুরা ভাষায় বৈসু, তঞ্চঙ্গ্যা ভাষায় বিসু এবং চাকমা ভাষায় বিজু’র সংক্ষেপিত রুপ হচ্ছে বৈসাবী। পাহাড়ী ৭ সম্প্রদায়ের প্রধান এই সামাজিক উৎসবকে সমষ্টিগত ভাবে বৈসাবি বলা হয়। অর্থাৎ চৈত্র মাসের ২৯ ও ৩০ তারিখ বছরের শেষ দু’দিন এবং নতুন বছরের প্রথম দুদিন বৈসাবীকে মারমা সম্প্রদায় সাংগ্রাই, ম্রো সম্প্রদায় চাংক্রান, খেয়াং সম্প্রদায় সাংগ্রান, খুমী সম্প্রদায় সাংগ্রায়, চাকমা সম্প্রদায় ও তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায় বিজু এবং ত্রিপুরা সম্প্রদায় বৈসু নামে বৈসাবী উৎসব পালন করে আসছে বহুকাল ধরে।

পাঠকের মতামত: