রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি ::
প্রবল ভারী বর্ষণে ধসে যাওয়ার এক সপ্তাহ পর রাঙামাটি-চট্টগ্রাম রুটে যান চলাচল শুরু হয়েছে। বুধবার দুপুর আড়াইটায় এ সড়কটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। সড়কটি দিয়ে শুধুমাত্র হালকা যান চলাচল করা যাবে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধানে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় এ সড়কটি চলাচলের উপযোগী করে তোলা হয়।
সড়কটি চালু করার সময় সড়ক ও জনপথ বিভাগের সচিব এম এ এন ছিদ্দিকুর রহমান, চট্টগ্রাম বিভাগের জিওসি মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার, সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আল হাসান, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. রুহুল আমিন, অতিরিক্ত প্রকৌশলী আলতাফ হোসেন খান, রাঙামাটি বিগ্রেডের রিজিয়ন কমান্ডার গোলাম ফারুক, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান, পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান, জোন কমান্ডার মো. রিদওয়ান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের মানিকছড়ি এলাকা থেকে রানীরহাট পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার সড়ক পথ প্রবল বর্ষণের কারণে ধসে যাওয়া সড়কের বিভিন্ন এলাকায় পুরোদমে কাজ করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং সেনাবাহিনী।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের সচিব এম এ এন ছিদ্দিকুর রহমান জানিয়েছেন, বুধবার আড়াই টায় হালকা যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। রাঙামাটি-চট্টগ্রাম, রাঙামাটি-বান্দরবান, রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের ৭ টি রুটের ১৪৫ টি স্থানে পাহাড় ধস হয়েছে। এছাড়া সড়কের ৩৭ টি স্থান ভেঙ্গে পড়েছে। এর মধ্যে ঘাগড়ার শালবাগান এলাকার সড়কটি ৬১কি:মি: এলাকায় একশ ফুট সড়ক ২শ-৩শ ফুট পাহাড়ের নিচে ধসে গেছে। সড়কগুলো প্রথমদিকে হালকা যান চলাচলের জন্য সচল করা হবে। পরবর্তীতে মাসখানেকের মধ্যে স্থায়ী সমাধানের মাধ্যমে ভারী যান চলাচলের জন্য উপযোগী করা হবে।
পাঠকের মতামত: