ঢাকা,বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

চকরিয়া সরকারী হাসপাতালে সেবাখাতের মানোন্নয়নে সভায় ভুক্তভোগীদের অভিযোগ

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্যোগে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) চকরিয়ার সহযোগিতায় হাসপাতালে সেবার মানোন্নয়নে সেবাগ্রহীতা ও কর্তৃপক্ষের অংশগ্রহনে যৌথ মতবিনিময় সভা সোমবার ৩০ জুলাই সকালে হাসপাতালের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা ডাঃ মোহাম্মদ শাহবাজ।

চকরিয়া টিআইবির এরিয়া ম্যানেজার এ.জি.এম.জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সনাক সদস্য জিয়া উদ্দীন। বক্তব্য রাখেন কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডাঃ শোভন দত্ত, সনাক সহসভাপতি সন্তোষ কুমার সুশীল, সনাক সদস্য অধ্যাপক বুলবুল জান্নাত শাহীন, সনাক সদস্য মোহাব্বত চৌধুরী, সাংবাদিক জাহেদ চৌধুরী, সাংবাদিক মো. মনজুর আলম, স্বজন সমন্বয়ক এইউএম শহীদুল্লাহ। সেবাগ্রহীতাদের পক্ষ থেকে সেবা সম্পর্কীত বক্তব্য রাখেন মোঃ আবুল কাশেম, মোহাম্মদ হাসান, শহীদুল ইসলাম, আছমা আকতার, মোঃ শেফায়েত হোসেন, আয়েশা বেগম ও রোজিনা বেগম। এ সময় সেবাগ্রহীতা ডাক্তার,নার্সসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বক্তারা চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে পূর্বের অভিজ্ঞতায় উন্নতির কথা তুলে ধরে বলেন চকরিয়া উপজেলার সাথে পাশ^বর্তী উপজেলা থেকে রোগীরা সেবা নিতে আসছেন এ হাসপাতালে। যার ফলে সীমিত জনবলে সাধারণ জনগণ কাঙ্খিত ভাল মানের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সহজ সরল রোগীরা কখনো কখনো দালালের খপ্পরে পড়ে আর্থিক ক্ষতির সম্মূখীন হচ্ছে, দালালের উপস্থিতি পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। জরুরী ঔষধ-সামগ্রী সরবরাহ, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বৃদ্ধি, আলট্্রাসনোগ্রাফি সুবিধা নিশ্চিত করাসহ জনবলবৃদ্ধি ও অন্যান্য সকল সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে।

চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের রামপুরের হাসেম বলেন পেট ব্যাথা নিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে এসেছেন। বাইরে গিয়ে ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা করতে গিয়ে ১৫০০/- টাকা ব্যয় হয়েছে অথচ সব পরীক্ষা যদি এখানে করা যেত আমার এতটাকা খরচ হতনা কারণ সরকারি ফি অনেক কম। তিনি চকরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা সুবিধা চালুর দাবী জানান।

সাহারবিলের শেফায়েত জানান, টিকিট সংগ্রহ করতে গিয়ে লাইনে দাড়ালেও লাইন ভেঙ্গে টিকেট দেয়া হয়েছে। সাংবাদিক জাহেদুল ইসলাম জানান দালালের উপস্থিতি কমলেও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। তিনি হাসপাতালকে দালালমুক্ত করার দাবী জানান।

সেবাগ্রহীতাদের প্রশ্নের উত্তরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ শাহবাজ সেবাগ্রহীতাদের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন সীমিত জনবল দিয়ে সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা চলছে। উপজেলা হাসপাতালে জেলা পর্যায়ের মত সকল সুযোগ সুবিধা বিদ্যমান থাকেনা। যার ফলে সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা সম্ভব হয়না। হাসপাতালে নিয়মিত নরমাল ডেলিভারি হচ্ছে প্রয়োজনে সিজারও হচ্ছে।

তিনি বলেন, দালালমুক্ত করতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে এই কমপ্লেক্স দালালমুক্ত হবে। তিনি সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে সাধারণ জনগনকে যে কোন ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার অনুরোাধ জানান।

পাঠকের মতামত: