ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের চোয়ারফাড়ি বাজারে অগ্নিকান্ডের ঘটনা পরির্দশনে ফজলুল করিম সাঈদী

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::   মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) বিকালে চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের চোয়ারফাড়ি বাজারে অগ্নিকা-ে ক্ষতিগ্রস্থ দোকানপাট দেখতে গেছেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনগনের মনোনীত নাগরিক কমিটির চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ক্রীড়া সংগঠক শ্রমিকনেতা আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী। ওইসময় তিনি বাজারে পৌঁছে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী ও উপস্থিত জনগনের সঙ্গে কথা বলেন। চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুল করিম সাঈদী বাজার উপস্থিত হবার খবর পেয়ে আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হঠাৎ করে কলাগাছ প্রেমি জনগনের ঢল নামে। ওইসময় তাকে কাছে পেয়ে নির্বাচনে সকল ধরণের ভয়ভীতি ও রক্তচক্ষুকে ধুলিরসাৎ করে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা দেন।

বাজার পরিদর্শন শেষে চোয়ারফাঁিড় রাস্তার মাথায় অতর্কিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন নাগরিক কমিটির চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুল করিম সাঈদী। সেখানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য ও মাতামুহুরী উপজেলা আওয়ামীলীগের অর্থসম্পাদক আলহাজ আবু তৈয়ব, আওয়ামীলীগ নেতা জাফর আলম সিকদার, চকরিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শওকত হোসেন। উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগ নেতা সেকান্দর বাদশা নাগু সওদাগর, জমির উদ্দিন মেম্বার, আনোয়ার হোসেন।

এরপর তিনি ইলিশিয়া বাজার ও পরে দরবেশকাটা স্টেশনে ব্যাপক গনসংযোগ করেন। গণসংযোগকালে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুল করিম সাঈদী সেখানে বাজার ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় লোকজন, আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। দরবেশকাটা স্টেশনে তিনি সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ শাহাব উদ্দিনের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ওইসময় উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জাকের আহমদ, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহনেওয়াজ, সাবেক ছাত্রনেতা মোস্তাফা প্রমুখ নেতাকর্মী।

অনুষ্ঠিত পথসভায় চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী বলেছেন, চকরিয়া উপজেলা নির্বাচনে আমার সামনে যত বাঁধা বিপত্তি আসুক, তাতে আমি বিচলিত নই। সংগ্রামী চকরিয়াবাসির ভালোবাসা ও সমর্থন নিয়ে ইনশাল্লাহ আমি শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকবো। একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আমাকে জনগনের হৃদয় থেকে কেউ আলাদা করতে পারবেনা। অনেকে অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হচ্ছেন। এসব কথা শুধুই গুজব। উপজেলা নির্বাচনে আমাকে ঘিরে জনগনের মাঝে জেগে উঠা বিপ্লবকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে একটিপক্ষ নানাভাবে গুজব রটাবে। আপনারা গুজবে কান দেবেনা।

নির্বাচনী প্রচারণা শেষে অনুষ্ঠিত পথসভায় চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুল করিম সাঈদী বলেন, আওয়ামীলীগ থেকে সারাদেশে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক মনোনয়ন দেয়া হলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামীলীগের যে কোন নেতা প্রার্থী হতে পারবেন বলে ঘোষনা দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। কাজেই এখানে দলের নেতাকর্মীদেরকে কোন ধরণের ভয় পাবার কারন নেই। তাই মনোনয়ন না পেলেও সংগ্রামী চকরিয়াবাসির অনুপ্রেরণায় এবং ভালোবাসাকে সম্মান জানিয়ে আমি চকরিয়া উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি।

চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুল করিম সাঈদী বলেন, আমার ব্যক্তিগত কোন চাওয়া পাওয়া নেই, আমার প্রতি আপনাদের দোয়া ও ভালবাসা এবং সমর্থন-সহযোগিতা দেখে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ও তাঁর অনুসারীরা পাগল হয়ে গেছে।

উপজেলার প্রতিটি জনপদে দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনগন ভোট দিয়ে আমাকে বিজয়ী করতে মুখিয়ে আছেন, ঠিক তখনই আমাকে নানাভাবে বাধা দেয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে নির্বাচন থেকে সরে যেতে বিভিন্ন লোভনীয় অফার দিচ্ছেন। কিন্তু আমি চকরিয়াবাসির ভালোবাসাকে মাথায় তুলে নিয়ে তাদের এসব লোভনীয় ফাঁদে পা দিচ্ছি না। আমি মনে করি, তাদের এসব লোভনীয় অফারে পা দেওয়া মানে নিজেকে নিজে শেষ করে দেওয়া।

আমি নির্বাচনে চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার সংগ্রামী জনগন আমাকে যে রায় দেবেন তা মাথা পেতে নেব। আমার প্রিয় চকরিয়াবাসিকে বলবো, আপনারা সকল ধরণের ভয়ভীতিকে পদদলিত করে আগামী ১৮ মার্চ সারাদিন ভোট কেন্দ্রে থাকুন, ভোট কেন্দ্র পাহঁরা দেবেন। দেখে শুনে যোগ্য প্রার্থীকে আপনার/আপনাদের মূল্যবান ভোটটি প্রদান করুন। ইনশাল্লাহ আপনাদের ভোটে বিজয়ী হলে আপনারা দলমত নির্বিশেষে চকরিয়া উপজেলার আপামর জনসাধারণ হবেন শাসক, আমি হবো শুধুই আপনাদের সেবক। এভাবে আমি আপনাদের ভালোবাসা, সমর্থন দোয়া ও আস্থার প্রতিদান দিতে চাই।

অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন চকরিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শওকত হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা পরিমল বড়–য়া, মিফতাব উদ্দিন চৌধুরী, নুরুল আলম, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, নুরুল আবছার, ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম নুরুস শফি, চকরিয়া পৌর যুবলীগের সহ-সমভাপতি হাসান আল বসরী, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের সদস্য নুরুল আমীন টিপু, কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেফায়েত কবির বাপ্পী, মিফতাব উদ্দিন চৌধুরী, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের সদস্য নুরুল আমিন টিপু, আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ শাহাব উদ্দিন, সাবেক ছাত্রনেতা আশেকুর রহমান মামুন, জেলা ছাত্রলীগের সদস্য তারেকুল ইসলাম রাহিত, পৌর যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিন।##

পাঠকের মতামত: