ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কায় জনগণ

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি ::

দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়া আচরণবিধির লঙ্ঘন হলেও কক্সবাজার-১ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য জাফর আলম তা মানছেন না। দল মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর পক্ষে ভোট চাওয়া অব্যাহত রেখেছেন তিনি। এ অবস্থায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন গিয়াসের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা।

অভিযোগ উঠেছে, গিয়াসকে যেকোনোভাবে জেতাতে ভোট কারচুপির ছক কষা হয়েছে। প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালনকারী অন্তত ৫০ জনকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ (হাত) করা হয়েছে। তাঁদের নিয়ে করা হয়েছে গোপন বৈঠকও।

চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফজলুল করিম সাঈদী  অভিযোগ করেন, ভোট কারচুপির জন্য উপজেলার ৯৯টি কেন্দ্রের মধ্যে অন্তত ৫০টি কেন্দ্র বাছাই করা হয়েছে। নৌকার প্রার্থী গিয়াসের পক্ষে কেন্দ্রভিত্তিক দাগি ও সন্ত্রাসী শ্রেণির লোকজন ঠিক করা হয়েছে।

সাঈদী চকরিয়া নিউজকে আরো অভিযোগ করে বলেন, প্রশাসনের কড়াকড়িতে পরিকল্পনা ব্যর্থ হলে বিকল্প পন্থা হিসেবে ভোটগ্রহণের সময় তিন পদের ব্যালটের মধ্যে শুধু দুই ভাইস চেয়ারম্যান পদের ব্যালট ভোটারদের হাতে দেওয়া হবে। চেয়ারম্যান পদের ব্যালট যাতে ভোটারদের হাতে না যায় সে জন্য চূড়ান্ত পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এমনকি চেয়ারম্যান পদের হুবহু বিকল্প ব্যালট ছাপিয়ে বাক্সে ঢুকিয়ে দেওয়ারও পরিকল্পনা আছে। আবার গ্রামে গ্রামে গিয়ে ভোটারদের কেন্দ্রে না আসতে দলীয় নেতাকর্মীর মাধ্যমে ভয়ভীতি দেখা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে চকরিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু ও সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী চকরিয়া নিউজকে বলেন, ‘দল থেকে প্রার্থী দিলেও বিদ্রোহীদেরও স্বাগত জানিয়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। সুষ্ঠু ভোটে যিনিই জিতুন না কেন তিনি হবেন দলেরই। তাই এমপি মহোদয়ের কাছে আমাদের আবেদন, আপনি এবার একটু থামুন। যেকোনো উপায়ে একজনকে জেতাতে গিয়ে আপনি বিতর্কিত হন, তা আমরা চাই না।’

এ ব্যাপারে এমপি জাফর চকরিয়া নিউজকে বলেন, ‘এখানে আমার ব্যক্তিগত কোনো চাওয়া নেই। প্রশাসনের মতো আমিও চাই সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট অনুষ্ঠিত হোক। আর যেসব প্রার্থী আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন তার কোনো সত্যতা নেই।’

পাঠকের মতামত: