কক্সবাজারের চকরিয়ায় সপ্তাহের ব্যবধানে একটি গ্রাম থেকে অন্তত ১২টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। দফায় দফায় গরু চুরির ঘটনায় উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের স্থানীয় লোকজনের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। পুলিশ অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে দুটি চোরাই গরু উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় শুক্রবার চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৭জনকে আসামি করে চকরিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন জসিম উদ্দিন নামের ভুক্তভোগী গরু মালিক। অভিযুক্তরা হলেন, ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের মৃত বাবু মিয়ার ছেলে সাহাব উদ্দিন, মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে রফিক, আহমদ হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ হোসেন প্রকাশ ছোট মিয়া, মৃত নিক্ঞ্জু বড়–য়ার ছেলে বাসু বড়–য়া, ২নম্বর ওয়ার্ডের মৃত গুরা মিয়ার ছেলে নুরুল আমিন ও মৃত নুরুল আমিন প্রকাশ লেইঠ্যার ছেলে জমির উদ্দিন।
মামলার এজাহারে গরু মালিক উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ কালু ছেলে কৃষক জসিম উদ্দিন জানান, গত ৯মে রাতে খাওয়া ধাওয়া শেষে পরিবারের সকলেই বাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েন। ওই সময় গভীর ঘুমে অচেতন হয়ে পড়লে অভিযুক্ত আসামিরা তার বাড়ির উঠানে ঢুকে রাত ২টার দিকে গোয়ালঘর থেকে দুটি গরু চুরি করে নিয়ে যায়। তার দুটি গরুর একটির বাজার মুল্য ৩০হাজার ও অপরটির মুল্য ৭০হাজার টাকা।
এজাহারে বাদি করেন, তার গরু দুটি চুরি হওয়ার কয়েকদিন আগে একই ওয়ার্ডের নয়াপাড়া গ্রামের আবদু ছমদের বাড়ির গোয়ালঘর থেকে অনুরূপ ভাবে একটি গরু নিয়ে যায় চোরের দল। এভাবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে এলাকার অন্তত ৫-৬টি পরিবার থেকে ১০-১২টি গরু চুরি হয়েছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ্য করেন বাদি।
শুক্রবার রাত সাতটার দিকে চকরিয়া থানার সামনে ভুক্তভোগী গরু মালিক জসিম উদ্দিন জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও থানা পুলিশের সহায়তায় বৃহস্পতিবার রাতে তার একটি ও আবদু ছমদের একটি গরু চোরদের কাছ থেকে নেয়া ক্রেতার হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে চুরির ঘটনায় জড়িতদের সনাক্ত করা গেলেও এখনো গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তিনি জানান, উদ্ধারকৃত গরু দুটি থানা হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে গরু চোর চক্রে জড়িতদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
চকরিয়া থানার ওসি মো.জহিরুল ইসলাম খাঁন বলেন, গরু চুরির ঘটনায় থানায় জড়িতদের সনাক্ত করা হয়েছে। এব্যাপারে থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। #
পাঠকের মতামত: