ঢাকা,বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় প্রবাসির বাড়িতে দুর্বৃত্তদের হামলা ও ভাংচুর, গৃহকর্ত্রী ও শিক্ষার্থীসহ ৩ জনকে কুপিয়ে জখম,র্স্বণালঙ্কার ও নগদ টাকা লুট

Chakaria Picture 15-05-2016এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :::

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নে প্রবাসির বাড়িতে ঢুকে হামলা, ভাংচুর ও ব্যাপক লুটপাট চালিয়েছে সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা। ওইসময় তাদের বাঁধা দিতে গেলে মাথায় ও হাতে পায়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে ওই পরিবারের গৃহকর্ত্রী, তার স্কুল পড়–য়া ছেলেসহ তিনজনকে। ঘটনার সময় দুর্বৃত্তরা বাড়ির আলমিরা থেকে নগদ আড়াই লাখ টাকা, ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও তিনটি মোবাইল সেট লুটে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন আক্রান্ত পরিবার সদস্যরা। গতকাল রোববার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৬টার দিকে ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম পুকপুকুরিয়া গ্রামের প্রবাসী ফজলুল হকের বাড়িতে ঘটেছে এ হামলা ও লুটপাটের ঘটনা।

আহতেরা হলেন, প্রবাসী ফজলুল হকের স্ত্রী হোসনে আরা বেগম (৩৮), তার ছেলে বদরখালী কলোনীজেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্র আবদুর রহিম (১৫) ও ননদ সামসুন নাহার (৩৫)। ঘটনার পর পরিবার সদস্যরা আহত তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেছে। তবে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।

অভিযোগে বাড়ির গৃহকর্ত্রী হোসনে আরা বেগম জানান, তার স্বামী ফজলুল হক দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে রয়েছেন। এ সুযোগে স্বামীর পৈত্রিক কিছু জায়গা স্থানীয় মৃত নজির আহমদের ছেলে নুর হোসেন ও তার ভাই আহমদ হোসেন গংয়ের লোকজন জোরপুর্বক দখল করতে নানাভাবে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট মামলাও দায়ের করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, রোববার সকালে আদালতের ওই মামলার নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অভিযুক্ত নুর হোসেন ও তার ভাই আহমদ হোসেন গং মহেশখালী, ডুলাহাজারা ও ফাসিয়াখালী থেকে ভাড়াটে অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তদের জড়ো করে জায়গা দখল করে সেখানে অবৈধ বসতি নির্মাণের চেষ্টা করেন।

চকরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গৃহকর্ত্রী হোসনে আরা বেগম জানান, ঘটনার সময় তাদেরকে বাঁধা দিতে গেলে অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা আমাদের ধাওয়া করে বাড়িতে ঢুকে এলোপাতাড়ি কুপাতে শুরু করে। প্রথমে আমাকে কুপিয়ে মাটি ফেলে দেয় তাঁরা। পরে আমাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসলে আমার ননদ সামসুন নাহারকে এবং সর্বশেষে আমার স্কুল পড়–য়া ছেলে আবদুর রহিমকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। তিনি অভিযোগ করেন, ঘটনার সময় হামলাকারী অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা বাড়ির আলমিরা থেকে নগদ আড়াই লাখ টাকা, ৫ ভরি স্বর্ণ ও তিনটি মোবাইল সেটসহ বিপুল মালামাল লুটে নিয়ে যায়। হামলার এ ঘটনায় নুর হোসেন ও তার ভাই আহমদ হোসেন ছাড়াও ইয়াছিন, আরেফা খাতুন, মালেকা খাতুন ও বেবি আক্তার সহ ৮-১০জন অংশ নেয় বলে অভিযোগ করেন আক্রান্ত গৃহকর্ত্রী। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন আক্রান্ত পরিবারের লোকজন।

চকরিয়া হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা.মোহাম্মদ ছাবের বলেন, হামলার ঘটনায় আহত দুই মহিলা ও এক স্কুল ছাত্রকে হাসপাতালে আনার পর প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্য দুইজনকে চকরিয়া হাসপাতালে ভর্তি দেওয়া হয়েছে।

চকরিয়া থানার ওসি তদন্ত মো.কামরুল আজম বলেন, বদরখালীতে প্রবাসীর বাড়িতে হামলার ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। #

পাঠকের মতামত: