চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি :: সাগরপথে মালয়েশিয়ায় নেওয়ার কথা বলে দালালচক্র উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির থেকে শিশুসহ ৮ নারীকে ফুসলিয়ে নিয়ে আসে চকরিয়ায়। এখানে আনার পর তাঁদের কাছ থেকে সর্বস্ব হাতিয়ে নিয়ে দালালের বাড়িতে দুদিন ধরে আটকে রাখা হয়। গোপনে খবর পেয়ে পুলিশ এক দালালের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তালাবদ্ধ ঘর থেকে এসব রোহিঙ্গা নারীকে উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার রাতে চকরিয়া পৌরসভার করাইয়াঘোনায় দালাল আলমগীরের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ।
চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুব্রত রায় জানান, তালাবদ্ধ ঘরটি থেকে এসব রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করতে গেলে দালাল আলমগীরসহ পরিবার সদস্যরা পালিয়ে যায়। উদ্ধারকৃতদের সবাই নারী। এর মধ্যে মায়ের সঙ্গে দুই শিশু এবং অন্যদের বয়স ১৪ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। তাঁরা কুতুপালং শরণার্থী শিবিরের নিবন্ধনভুক্ত। তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফের শরণার্থী শিবিরে হস্তান্তর করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গারা হলেন হালিমুল্লাহর স্ত্রী নেছারু বেগম (৩৫), তার দুই শিশু কন্যা সামিয়া বিবি (৫) ও নফিসা বিবি (৪), হামিদ হোসেনের কন্যা রমিজা বেগম (১৬), সালেহ আহমদের কন্যা উম্মে কুলসুম (১৪), জামাল হোসেনের কন্যা সানজিদা (১৬), আমান উল্লাহর কন্যা মিনারা বেগম (১৮) ও মুচনী ক্যাম্পের ইলিয়াছের কন্যা শাহজাহান বেগম (১৪)।
চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম আতিক উল্লাহ জানান, মালয়েশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ফুসলিয়ে এসব রোহিঙ্গাকে চকরিয়ায় নিয়ে আসার ঘটনায় জড়িত রয়েছে তিনজন দালাল। তাদের নামও জানিয়েছেন উদ্ধারকৃতরা। এমনকি তাদের দুদিন ধরে জিম্মি করে সর্বস্ব হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ করেন এসব রোহিঙ্গা।
চকরিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘কুতুপালং শরণার্থী শিবির থেকে রেজিস্ট্রেশনভুক্ত এসব রোহিঙ্গা নারীকে অন্যত্র পাচার করতেই এখানে নিয়ে আসা হয়েছিল। তাই যেসব দালাল এই ঘটনায় জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হচ্ছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গা নারীদের ফের শরণার্থী শিবিরে প্রেরণ করা হয়েছে।’
পাঠকের মতামত: