ঢাকা,বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় গাড়ি থামিয়ে কোটি টাকা দামের ১৮টি স্বর্ণের বার ছিনতাই, জানে না পুলিশ

chinotaiএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

কক্সবাজারের চকরিয়ায় রাতের আধাঁরে প্রকাশ্যে মহাসড়কে নোহা মাইক্রোবাস থামিয়ে কোটি টাকা দামের অন্তত ১৮টি স্বর্ণের বার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। একটি স্বর্ণের বারে ১৪ভরি করে ১৮টিতে প্রায় ২৫২ ভরি স্বর্ণ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত ২ মে সোমবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে চকরিয়া কলেজ পয়েন্টে ছিনতাইয়ের এ ঘটনা ঘটেছে। তবে গত ১২দিনেও ঘটনাটি ব্যাপারে কিছুই জানে না স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন রাতে একটি নোহা মাইক্রোবাসে করে পাচারকারী চক্রের দুই সদস্য পরিবার সদস্যদের (নারী-শিশু) সাথে করে পর্যটক আদলে স্বর্ণের বার গুলো নিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে চট্টগ্রামে যাচ্ছিল। সুত্র মতে, টেকনাফ বন্দরের কতিপয় সোর্স মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে ৪-৫জনের একটি চক্র আগে থেকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া কলেজ পয়েন্টে অবস্থান নেয়। রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে গাড়িটি কলেজ পয়েন্ট অতিক্রমকালে উৎপেতে থাকা চক্রের সদস্যরা নিজেদেরকে গোয়েন্দা সংস্থার লোক পরিচয় দিয়ে তল্লাসির নামে নোহা মাইক্রোবাসটি থামায়। এরপর তাঁরা গাড়িতে থাকা যাত্রীদের (চোরাচালানী চক্রের দুই সদস্য ও নারী-শিশুকে) জিম্মি করে গাড়িটি নিয়ে যায় চকরিয়ার ভাঙ্গারমুখ এলাকায়। সেখানে নিয়ে গিয়ে গাড়ি তল্লাসি করে স্বর্ণের বার গুলো লুটে নেয়। সুত্র মতে, ওইসময় গাড়িটি পুলিশে দেয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে পরে গাড়ি মালিক ও চোরাচালানি দলের অন্য সদস্যদের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে আদায় করেন আরো ৩লাখ টাকা। পরে স্বর্ণের বার ও বিকাশের টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাদেরকে (মাইক্রোবাসের আরোহী) ছেঁেড় দেয় গোয়েন্দা সংস্থার লোক পরিচয় দেয়া যুবকরা।

স্বর্ণের বার ছিনতাইয়ের ঘটনায় টেকনাফ বন্দরের একজন কর্মচারী, চকরিয়া পৌরসভার ভাঙ্গারমুখ ও মৌলভীরকুম এলাকার দুই যুবক এবং তাদের সাথে মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশের দুইজন সদস্য পাঁচজন জড়িত রয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ঘটনাটি গভীরভাবে তদন্ত করলে জড়িতদের সনাক্ত করা সম্ভব হবে বলে ধারণা করছে স্থানীয় সুত্র।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (চকরিয়া সদর সার্কেল) মো.মাসুদ আলম বলেন, ঘটনাটির ব্যাপারে আপনার মতো আরো কয়েকজন সাংবাদিক আমাকে জানিয়েছেন। কিন্তু পুলিশের তথ্য মতে এই রকম ঘটনা আমাদের নজরে আসেনি। তিনি বলেন, আমাদের নিজস্ব সোর্স ব্যবহার করা হচ্ছে ঘটনাটির রহস্য উৎঘাটনের জন্য। সত্যতা পেলে অবশ্যই জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। #

পাঠকের মতামত: