কোচিং বাণিজ্য বন্ধে আইন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
তিনি বলেন, ‘দেশে কোনো কোচিং বাণিজ্য চলবে না, কোনো গাইড বই চলবে না। আমাদের নতুন শিক্ষা আইনে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হবে। খুব শিগগিরই এটি মন্ত্রী পরিষদ বৈঠকে উত্থাপন করা হবে।’
শনিবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা ধারায় নতুন সংযোজন ইন্টার্যাকটিভ ডিজিটাল মাদরাসা টেক্সটবুক (আইডিএমটি)-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘ছেলেমেয়েদের নিয়ে কাউকে প্রতারণা করতে দেওয়া হবে না। পড়াশোনার নামে ব্যবসা বাণিজ্য করার কোনো সুযোগ নেই। যেসকল শিক্ষক স্কুলে না পড়িয়ে বা কোনোরকম পড়িয়ে প্রাইভেট বা কোচিং করার কথা বলে, তাদের চিহ্নিত করা হবে। এমন শিক্ষক আমাদের দরকার নেই। তাদের ছাটাই করা হবে। শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে এসব ব্যবসা বাণিজ্য করার জন্য নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই ভাল মানের শিক্ষা। নতুন প্রজন্মকে চাই আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে। যাতে তারা বিশ্বমানের দক্ষতা অর্জন করতে পারে। আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের পাশাপাশি তাদের নৈতিক শিক্ষায়ও শিক্ষিত করে তুলতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে বলেন শিশুদের বই বেশি। প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির পাঠ্যবই এক কেজির বেশি নয়। এখন আপনি যদি তার কাঁধে দুই কেজি ওজনের একটি ব্যাগ, এক কেজি নাশতা, এক লিটার পানি দেন তাহলে তো আমাদের কিছু করার নেই। এসব বিষয়ে অভিভাবকদের আরো সচেতন হওয়া প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু প্রযুক্তি আমদানি করব না। প্রযুক্তি বিদেশে রপ্তানি করার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। তরুণ প্রজন্মই আগামীর আধুনিক বাংলাদেশ নির্মাণ করবে। এটা স্বপ্ন নয়, বাস্তবে পরিণত করতে হবে। নতুন জ্ঞান অনুসন্ধান করতে হবে। নতুন কিছু সৃষ্টি করতে হবে। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ নির্মাণের অগ্রবাহিনী হিসেবে তরুণ প্রজন্মকে গড়ে তুলতে হবে। সরকার এ বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’
বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম ছায়েফ উল্যার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, বুয়েট কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এম কায়কোবাদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম জাকির হোসেন ভূঁইয়া, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. বিল্লাল হোসেন।
পাঠকের মতামত: