ঢাকা,বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

কুতুবদিয়ায় অনলাইন পাঠদান থেকে বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা

আব্বাস সিদ্দিকী, কুতুবদিয়া ::
কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া উপজেলার প্রায় ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী এনড্রয়েড ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সামর্থ্য ও সুযোগ না থাকার কারনে হতদ্ররিদ্র শিক্ষার্থীরা অনলাইন পাঠ গ্রহনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

সরকারি নির্দেশনায় সারা দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় চালু করেছেন অনলাইনে পাঠদান। সরকারিভাবে বিটিভিতে পাঠদান চালু রয়েছে।

সারাদেশের শিক্ষার্থীরা এনড্রোয়েড মুঠোফোনে ইন্টারনেট সুবিধা নিয়ে ল্যাপটপ ব্যবহার করে এ সুযোগ গ্রহন করছে। তবে কুতুবদিয়ায় পিছিয়ে পড়া দরিদ্র শিক্ষার্থীরা এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত রয়েছে।

জানা যায়, এনড্রোয়েড মুঠোফোন, বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সুবিধা না থাকায় শতকরা ৯০ ভাগ শিক্ষার্থী অনলাইনে পাঠ গ্রহনের সুযোগ নিতে পারছেনা। কুতুবদিয়া উপজেলা বিভিন্ন স্কুল ও কলেজ প্রধানদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সরকারি নির্দেশনায় থাকলেও দ্বীপশিক্ষার্থীরা এ সুযোগ নিতে পারছে না। তাদের এনড্রোয়েড মুঠোফোন, ল্যাপটপ, এমবি, ব্রডব্যান্ড, ওয়াইফাই ও বিদ্যুতের সুবিধা না থাকায় তারাই সুযোগটি গ্রহন করতে পারছেন না। কিন্তু স্কুল কলেজের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী নজরুল ইসলাম জানান, কুতুবদিয়ার ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষা ক্ষেত্রে মূলধারার ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। টেলিভিশন, স্মার্টফোন-ইন্টারনেট তো নেই এমনকি বিদ্যুৎ সুযোগও নেই। তাই এখানকার ছেলে-মেয়েরা সরকারের “আমার ঘরে আমার স্কুল” কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

হাসান শরীফ জানান, দ্বীপের অধিকাংশ গরিব মানুষ দিন আনে দিন খায়। তারা স্মার্টফোন ব্যবহার করার প্রশ্নই উঠে না। তাদের স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলে-মেয়েরা অনলাইনে পাঠদানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত রয়েছে।

ধূরুং আর্দশ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, জলাল উদ্দীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আল ফারুক দাখিল মাদ্রাসা, কুতুবদিয়া সরকারী কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা জানান, সরকারি নির্দেশনা থাকলেও এনড্রোয়েড মুঠোফোন, ল্যাপটপ, এমবি, ব্রডব্যান্ড, ওয়াইফাই ও বিদ্যুতের সুবিধা না থাকায় তারাই সুযোগটি গ্রহন করতে পারছেন না। এ সুযোগ থেকে শতকরা ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী বঞ্চিত হচ্ছেন।

পাঠকের মতামত: