ক্লাবের সভাপতি মাহবুবর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় তারা আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থানে পলাতক শেখ হাসিনা ও তার প্রেতাত্নারা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সামনে এনে দেশের ভেতরে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু করে দিয়েছে। বিশেষ করে কক্সবাজারের শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করে তোলার পাঁয়তারায় মেতেছে।
ছাত্র-জনতা সব ধরণের চক্রান্ত রুখে দিবে বলেও মন্তব্য করেন তারা।
এই স্মরণ সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে বক্তব্য দেন সমন্বয়ক রবিউল হাসান, সাগর ইসলাম ও আজিমা ইমা।
তারা বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়ে যখন দেশের সর্বস্তরের মানুষের পছন্দের সরকার গঠিত হয়েছে, ঠিক তখনই সংখ্যালঘুর ধোয়া তুলে শান্ত পরিবেশ নস্যাৎ করতে চায় আওয়ামী লীগ। কোন অপশক্তির ঠাঁই বাংলাদেশে হবে না।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন নবগঠিত প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি জি এ এম আশেক উল্লাহ। এছাড়াও বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আতাহার ইকবাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহম্মদ নূরুল ইসলাম, ক্লাবের নির্বাহী সদস্য মুহাম্মদ আবু ছিদ্দিক ওসমানী, সিনিয়র সদস্য শামসুল হক শারেক, দৈনিক সমুদ্র কণ্ঠের সম্পাদক ও প্রকাশক অধ্যাপক মইনুল হাসান পলাশ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ক্লাবের ক্রীড়া সম্পাদক এম আর মাহবুব।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ট্রাফিকিং, পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও থানা থেকে লুটকৃত বিভিন্ন যানবাহন উদ্ধারে প্রশংসনীয় ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানান সাংবাদিক নেতারা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন কক্সবাজার ঈদগাহ জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম। তিনি নতুন মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের মাগফেরাত কামনা ও আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী-জনতার সুস্থতা কামনা করে মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন।
পাঠকের মতামত: