প্রাকৃতিক ভাবে বিষমুক্ত শুটকি প্রক্রিয়াজাত করণে পাশাপাশি কক্সবাজারের শুটকির সুনাম বিশ্বব্যাপী ধরে রাখার জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছেন উৎপাদকারী ব্যবসায়িরা। এমনকি বিজ্ঞান সম্মত ও পরিবেশ বান্ধব উপায়ে উৎপাদিত স্বাস্থ্য সম্মত শুটকির নিশ্চয়তাও দেন তারা।
ব্যবসায়িরা বলেন, কক্সবাজার পর্যটনরাজধানী। পটর্যটনের সাথে ওৎপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে এখাকার সুস্বাদু শুটকি। কক্সবাজারের উৎপাদিত শুটকি দেশে নয় বিদেশেও সুনাম রয়েছে।
শনিবার ২৮ মে বেলা ২ টায় কক্সবাজার বিমানবন্দরস্থ নতুন ফিশারীপাড়া অস্থায়ী কার্যালয়ে কক্সবাজার শুটকি উৎপাদকারী ব্যবসায়ি সমবায় সমিতি’র আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন শুটকি ব্যবসায়ি নবী হোসেন। আলোচনায় অংশ নেন, শুটকি উৎপাদনকারী ব্যবসায়ি ইসহাক সওদাগর, গুরা মিয়া সওদাগর, রহিম সওদাগর, জয়নাল আবেদীন, আমির হোসেন, হোছন আলী, গফুর সওদাগর, জাফর আহম্মদ, নুরুল ইসলাম বহদ্দার প্রমুখ।
সভায় বক্তারা আরো বলেন, সম্পূর্ণ সামুদ্রিক মাছের এ শুটকি দেখতে যেমন আর্কষণীয়, খেতেও সুস্বাদু। কক্সবাজারে পর্যটকদের এসব শুটকি আকর্ষণ করে। ফলে অনেক পর্যটক কক্সবাজার এলে শুটেকি কিনে নিয়ে যান। শুকানোর পর এসব শুটকি প্লাস্টিকের বস্তা ভরে বাজারজাত করা হয়। কক্সবাজারের নাজিরার টেক বালিয়াড়ী এলাকায় প্রায় এক’শ একর জমির ওপর গড়ে উঠেছে শুধু দেশের নয় দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ শুটকি পল্লী।
এছাড়া কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল, সমিতিপাড়া, নুনিয়ারছড়া, চৌফলদন্ডি, মহেশখালীর সোনাদিয়া, গোরকঘাটা, তাজিয়াকাটা, কুতুবজোম, কুতুবদিয়া এলাকায় শুটকি পল্লী রয়েছে। এসব এলাকায় উৎপাদিত শুটকি সৌদি আরব, হংকং, থাইল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি দেশে রপ্তানি করে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে।
সভাশেষে উপস্থিত সকল ব্যবসায়িদের সর্বসম্মতিক্রমে, শুটকি উৎপাদকারী ব্যবসায়ি জয়নাল আবেদীনকে আহবায়ক, ইসহাক সওদাগর, গুরা মিয়া সওদাগর যুগ্ম আহবায়ক ও মনির হোসেনকে সদস্য সচিব করে ২০১ জন বিশিষ্ট ‘কক্সবাজার শুটকি উৎপাদকারী ব্যবসায়ি সমবায় সমিতি’র আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
গঠিত কমিটি আগামী একমাসের মধ্যে একটি পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। শুটকি উৎপাদকারী ব্যবসায়িদের সরল বিশ্বাসে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের কিছু অসাধু ব্যবসায়িরা বিভিন্ন ভাবে হয়রানী ও আর্থিক ক্ষতি করে আসছে। এব্যাপারে যথাযত পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়টিও সভায় গুরুত্ব দেয়া হয়।
শুটকি উৎপাদকারী ব্যবসায়িরা একটি নীতিমালা প্রনয়নের মাধ্যমে আগামীতে শুটকি বিক্রয়ের বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই উৎপাদনমুখি ব্যবসাকে ঠিকিয়ে রাখার জন্য সরকারী ভাবে সহযোগীতা কামনা করা হয় সভায়।
পাঠকের মতামত: