ঢাকা,বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

উখিয়ায় ব্রাকের ম্যালেরিয়া রোগ নির্মূল প্রকল্পের নামে অর্থ অপচয়ের অভিযোগ 

ফারুক আহমদ উখিয়া ::  উখিয়া এনজিও সংস্থা ব্রাক কর্তৃক পরিচালিত ম্যালেরিয়া রোগ প্রতিরোধ কর্মসূচি বাস্তবায়নের নামে বরাদ্দকৃত অর্থের অপচয় সহ  নানা  অব্যবস্থাপনার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

 গত ১০ মাসে  ৫ জন ম্যালেরিয়া রোগ চিকিৎসা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন নাগরিক সমাজ।

 খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় উপজেলার কোট বাজার স্টেশনের  উত্তর পাশে   ম্যালেরিয়া রোগ নির্ণয়ে একটি ল্যাব স্থাপন করে ব্র্যাক।  বর্তমানে উক্ত ল্যাবে একজন ম্যানেজার একজন ল্যাব টেকনিশিয়ান সহ ২০ জন মাঠ কর্মী রয়েছেন। দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মল কর্মসূচির আওতায় গ্লোবাল ফাউন্ডেশন ও ডিজিএইচএস  সহ কয়েকটি দাতাসংস্থার নিকট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তহবিল সংগ্রহ করে ব্রাক এ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

 ল্যাব টেকনিশিয়ান জুনান চাকমা সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এক পরিসংখ্যানে বলেন গত এপ্রিল  ২০১৯ সাল থেকে চলতি বছর জানুয়ারি মাস পর্যন্ত কেবল  ৫ জন রোগী ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার শনাক্ত নির্ণয় করা হয়েছে।

 সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা গেছে ব্রাক ম্যালেরিয়ার ল্যাবটি  ফাঁকা। ওখানে কোন রোগি নেই।  দায়িত্বরত কর্তা ব্যক্তিরা অলস সময় কাটাচ্ছেন।

এদিকে ব্র্যাকের উপজেলা ম্যানেজার জাকির হোসেন বিরুদ্ধে নামে-বেনামে বিল ভাউচার এর মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

 দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন। স্থানীয় নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা জানান দাতা সংস্থা থেকে   লক্ষ লক্ষ টাকা ফান্ড  সংগ্রহ করে ব্র্যাক সংস্থা ম্যালেরিয়া রোগ প্রতিরোধের নামে একটি ব্যর্থ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। গত এক বছরে যেখানে  ১০ জন রোগী রোগী ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়েছে মর্মে শনাক্ত হয়নি সেখানে এ ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়নে নামে লাখ লাখ ব্যয়  নিয়ে  প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অনেকের মতে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে অপ্রয়োজনীয় এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রাক এর ম্যানেজার জাকির হোসেন বলেন ল্যাবের কার্যক্রম ও আয় ব্যয়  নিয়ে সংস্থার কর্তৃপক্ষ অডিট শুরু করেছে।  কোন ধরনের বিল ভাউচার মাধ্যমে অতিরক্ত অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেছেন।

 সুশীল সমাজের ম্যালেরিয়া রোগ প্রতিরোধের নামে এ কার্যক্রম  আদৌ প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা এবং দাতা সংস্থা হতে সংগ্রহকৃত অর্থের অপচয়  বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানিয়েছেন।

পাঠকের মতামত: