ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

আলীকদমে বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকট

আলীকদম (বান্দরবান) প্রতিনিধি :

বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় খাবার পানির তীব্র সংকট চলছে। পানিশুন্যতা বিরাজ করছে উপজেলার আনাচে কানাছে স্থাপিত বেশীরভাগ রিংওয়েল ও টিউবওয়েলগুলোতে। দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। দুর্গম এলাকার উপজাতি অধ্যুষিত এলাকার চিত্র ভয়াবহ। প্রতিবছর শুষ্কমৌসুমে এ উপজেলায় পানীয় জলের সংকট থাকলেও সমাধানে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ঠুটু জগন্নাথের ভূমিকায় রয়েছে।

সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঝিরি-ছড়া, খাল ও নদীর পানি ব্যবহার করছে বেশীরভাগ পরিবার। তীব্র দাবদাহে এসব উৎসের পানি দুষিত হয়ে পড়ে। ফলে খাবার পানির প্রকট সংকটে পড়েছে দুর্গমের বাসিন্দারা।

উপজেলা সদর এলাকায়ও পানির সংকট চলছে। উপজেলার পানবাজার, উত্তরপালং পাড়া, পূর্বপালং পাড়া, প্রভাত পাড়া, সিলেটি পাড়া ও আবুমাঝি পাড়া, পূর্ণবাসন, বাঘেরঝিরি, যোগেন্দ্র পাড়া, তারাবনিয়া, রোয়াম্ভূ, নয়াপাড়া, মংচা পাড়া, জানালী পাড়া, কুরুকপাতা, পোয়ামুহুরীসহ প্রভৃতি এলাকায় বিশুদ্ধ পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছে। সকাল বিকেল রিংওয়েল টিবওয়েলগুলোতে মহিলারা কলসি নিয়ে ভীড় জমান।

উপজেলার পোয়ামূহুরী, কুরুকপাতা, দোছরী ও মাংগু এলাকায় শতাধিক পাহাড়ি পল্লীতে সহ¯্রাধিক পরিবার বসবাস করছে। সেখানে এখন নিরাপদ পানির উৎস নেই। গ্রীষ্ম মৌসুম আসতে না আসতে এসব ঝিরি-ছড়ার পানির উৎসও শুকিয়ে যায়। প্রতিবছরই পানির জন্য হাহাকার অবস্থা সৃষ্টি হয় দুর্গমের বাসিন্দাদের। যুগযুগ ধরে ঝিরি-ছড়ার পানি দিয়ে চললেও এখন তাও মিলছে না। দুষিত পানি পান করে পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, এতদিন যে সকল রিংওয়েল, কুপ কিংবা ঝিরি-ছড়া থেকে খাবার পানি পাওয়া যেত, এখন পানি মিলছে না। এক কলসি পানির জন্য দীর্ঘ অপেক্ষার প্রহর গুণতে হয়।

দৌছরির স্বাধীন মনি তঞ্চঙ্গ্যা জানান, প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমে পানির সংকট দেখা দেয়। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে এলাকায় উন্নয়মূলক কোনো প্রকল্প নেওয়া হয়নি।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের সহকারি প্রকৌশলী মনির আহমদের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও সাড়া পাওয়া যায়নি। এ কর্মকর্তা দীর্ঘ একযুগের বেশী সময় ধরে এ উপজেলায় বহাল থাকায় তার কর্মকা- নিয়ে এলাকাবাসীর অসন্তোষ রয়েছে।

 

পাঠকের মতামত: