আজ নব-নির্বাচিত মেয়র আলমগীর চৌধুরী চকরিয়া পৌর পরিষদের দায়িত্বভার গ্রহণ করছেন। পাশাপাশি পৌরসভার কাউন্সিলররাও দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। নির্বাচনের ৫২দিন পর দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন মেয়র আলমগীর চৌধুরী। নব-নির্বাচিত মেয়র ও তার পরিষদকে বরণ করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে পৌর পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। নতুন মেয়রকে স্বাগত জানাতে নবরূপে সাজানো হয়েছে পৌরভবনকে।
জানা যায়, গত ২০ মার্চ নির্বাচনে চকরিয়া পৌরসভাকে মেগাসিটি ও জলাবদ্ধতামুক্ত করার স্বপ্ন দেখিয়ে বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত হওয়া আলমগীর চৌধুরীর সামনে রয়েছে সমস্যার পাহাড়। এই বিশাল পাহাড় ডিঙ্গিয়ে সাফল্যের ঠিকানায় পৌঁছতে তাকে পাড়ি দিতে হবে পিচ্ছিল পথ, সামনে রয়েছে বেশকিছু চ্যালঞ্জে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই তাকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে আগামী পাঁচটি বছর। নির্বাচনের আগে আলমগীর চৌধুরী স্বপ্নের মেগাসিটি নির্মাণে জলাবদ্ধতা নিরসন, ডিজিটাল পৌরসভা, শিশুবান্ধব শহর, ভিক্ষাবৃত্তি এবং দারিদ্রতা বিমোচন, পথচারীদের গণশৌচাগার ব্যবস্থা, ড্রেনেজ মাষ্টার প্লানকে যুগোপযোগী করা, পরিচ্ছন্ন্ শহর গঠন, শহরে গাছ লাগিয়ে সবুজ বিপ্লব ঘটানো ও বনায়ন করা, শিক্ষার প্রসার ঘটানো স্বাভাবিকভাবেই এসব সমস্যার সমাধান করাই তার কাছে চ্যালেঞ্জ হিসেবে সামনে আসবে।
তবে সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জ গুলো হবে-শহরকে জলাবদ্ধতামুক্ত করা, দলীয় প্রভাব মুক্ত করা, প্রতিটি ওয়ার্ডে সমান উন্নয়ন করা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, সন্ত্রাস-মাদক মুক্ত করা ও যানজট সমস্যার সমাধান করা ইত্যাদি। এদিকে চকরিয়া পৌরসভাকে একটি উন্নত এবং বাসযোগ্য শহরে পরিণত করতে ও বিদ্যমান সমস্যা গুলোর সমাধান করার ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ সহযোগতিা পাবেন বলে মনে করছেন পৌরবাসিরা।
স্থানীয় সচেতন মহলের দাবী, নব-নির্বাচিত মেয়রকে নতুন করে সাজাতে হবে তার পৌর পরিষদকে। বিগত দিনে ওই পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বছরের পর বছর চাকুরি করে অনিয়ম ও দূর্নীতির আখঁড়া বানিয়েছে, সেসব দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরিয়ে ফেলতে হবে। না হয় মেগাসিটি গড়ার যে স্বপ্ন তা স্বপ্নই থেকে যাবে।
চকরিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র নুরুল ইসলাম হায়দারের বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, আধিপত্য নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ ছিলো। সেক্ষেত্রে আলমগীর পৌর পিতার চেয়ারে বসে অনিয়ম ও দূর্নীতি মুক্ত পৌরসভা করা তার প্রথম কাজ হবে। এছাড়া খাল খনন, যানজট নিরসন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, নতুন সড়ক, চিরিঙ্গা শহরে ফ্লাইওভার নির্মাণ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন, সন্ত্রাস দূর্নীতি মাদকমুক্ত সমাজ বিনির্মাণের পাশাপাশি পৌরসভার সেবার মান বাড়ানোর দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে নব-নির্বাচিত মেয়র আলমগীর চৌধুরীকে।
এব্যাপারে সচেতন নাগরিক কমিটি চকরিয়ার সদস্য জিয়া উদ্দিন জিয়া বলেন, যানজট মুক্ত পরিচ্ছন্ন শহর গড়ে তোলার জন্য যেসব প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছেন সেসব পূরণ করার চেষ্টা করবেন। আশাকরি তিনি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ঘনিষ্ট যোগাযোগের সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে পৌরসভার লক্ষাধিক মানুষের মান উন্নয়নে তার প্রতিশ্রুতি গুলো বাস্তবায়ন করবেন। তিনি আরও বলেন, পৌরশহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ড্রেনেজ ও লাইটিং ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে মেয়র এগিয়ে আসবেন। এসব নিরসন করলে জলাবদ্ধতা ও চুরি ডাকাতি অনেকাংশে কমে যাবে।
পাঠকের মতামত: