ঢাকা,সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

নিকৃষ্ট ও নিন্মমানের সেবায় যাত্রা শুরু করল বে ওয়ান জাহাজ, অসন্তুষ্ট যাত্রীসহ অতিথিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক :: ঢাকঢোল পিটিয়ে কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন সাগর পথের কথিত বিলাসবহুল জাহাজের যাত্রা শুরু করার কথা থাকলেও বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে উদ্ভোধন হল বে ওয়ান জাহাজ। অতিথিদের সাথে কোন প্রকার সৌজন্যেমূলক আচরণও করা হয় নি বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রবিবার (২০ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম থেকে বিকালবেলা আনুষ্ঠানিকভাবে সেন্টমার্টিন-কক্সবাজার সাগর পথের কথিত বিলাসবহুল জাহাজটি নিয়ম ও বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করে।

আনুষ্ঠানিক সূচী অনুযায়ী দুপুর ৩ টা ৩০ মিনিট থেকে উদ্ভোধনের পর সন্ধ্যা কক্সবাজার পৌছার কথা ছিল। পাশাপাশি রাত ৯টায় খাবারের ব্যবস্থা ছিল কিন্তু আমন্ত্রিত অতিথি ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস মিডিয়া, পত্র-পত্রিকার সংবাদ কর্মী সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নিমন্ত্রিত অতিথিদের কোন প্রকার আপ্যায়ন এর ব্যবস্থা করা হয় নি।

জানা যায়, দুপুর থেকে বিভিন্ন অতিথিরা জাহাজে প্রবেশের পর থেকে এক গ্লাস পানিও পান নি। তাছাড়া সার্বক্ষণিক খাবারের ব্যবস্থা রাখার কথা বলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হয়। কোন প্রকার আয়োজনের নিয়মকে তোয়াক্কা না করে যাচ্ছে তা ব্যবহারে আতিথেয়তায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

আমন্ত্রণে উপস্থিত একজন জানান, কক্সবাজার সদর থেকে ভোরে কোনপ্রকার নাস্তা বা পানির ব্যবস্থা না করে রাত ২ টা পর্যন্ত অভুক্ত রাখা হয়। আর কখনো আসব না বলে ক্ষমা চাইলেও এক গ্লাস পানিও তারা পান নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এ ছাড়া কক্সবাজার জেলা থেকে আমন্ত্রিত সাংবাদিকদের অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, এমন আয়োজন করে আমন্ত্রিত অতিথিদের অপমান করা হয়েছে। জাহাজাটকে বিলাশ বহুল বলা হলা হলেও তা আদৌ সত্য নয় বলে জানান যাত্রীরা।  কিন্তু এটি একটি পুরাতন ও লক্কর ঝক্কর জাহাজকে মেরামত করে কক্সবাজারে আনা হয়েছে।

এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথিরা জানান, কথিত ভিআইপি সার্ভিসের কারণে অপমানের শিকার হন বিভিন্ন অতিথিরা। দাওয়াত দিয়ে এনে ভিআইপি বা শ্রেণি বিভাজন করায় চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন আগত অতিথিরা। তারা বলেন, মাত্র দুইটি ফ্লোর উন্মুক্ত রেখে বাকি গুলো কে বা কাদের দখলে রেখেছে তা কর্তৃপক্ষই ভাল করে জানেন।

এদিক উক্ত অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম থেকে যাত্রা করা অতিথিরা আর কখনো বে ওয়ান এর সার্ভিস নিজে গ্রহণ করবেন না এবং অন্য কাউকে এ সার্ভিস নিতে উৎসাহিত করবেন না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এই বিষয়ে জাহাজ কতৃপক্ষের সাথে বেশ কয়েকবার কথা-কাটাকাটি হলে তারা পরে নিজেদের দোষ স্বীকার করেন এবং স্বীকার করেন তাদের অব্যবস্থাপনার কথাও । সুত্র: সমুদ্রকন্ঠ

পাঠকের মতামত: