ঢাকা,বুধবার, ১ মে ২০২৪

মাতামুহুরীতে বালু লুটের দায়ে জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যানের বিরোদ্ধে মামলা. কোটি টাকার ড্রেজার জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া  :: চকরিয়ার মাতামুহুরী নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে বিএমচর ইউপির চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ও বরইতলীর ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান বাদল মেম্বার সহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ১১ জনের বিরোদ্ধে মামলা করেছে। ৮ ডিসেম্বর মামলাটি করেছেন বদরখালী নৌ পুলিশ।গত ৭ ডিসেম্বর সোয়া কোটি টাকা মুল্যের ৫টি ড্রেজার সহ বালু উত্তোলন সামগ্রী জব্দ করেন চকরিয়ার ভ্রাম্যমান আদালত। বালু দস্যুতার অভিযোগে এ মামলা। যার মামলা নং ১১-৫০১/২০২০

মামলার অভিযোগে জানা যায়, চকরিয়া বিএমচর ইউপি চেয়ারম্যান এসএম জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যান ও বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়াজুল ইসলাম বাদল মেম্বারের নেতৃত্বে ১০/১৫ জনের একটি সিন্ডিকেট বরইতলী গোবিন্দ পুর ও বিএমচর ইউনিয়নের পুচাইল্লা পাড়া সংলগ্ন লোহার ব্রীজ এলাকার মাতামুহুরী নদীতে ড্রেজার বসিয়ে কোটি কোটি সিএফটি বালু উত্তোলন করে বিক্রি বাণিজ্য করে আসছিল। অপরিকল্পিত ও বেপরোয়াভাবে বালু উত্তোলনের কারণে আশপাশের গ্রামের ঘরবাড়ী সহ কৃষিজমি ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলীয়মান হয়। যা রীতিমত পরিবেশ-প্রতিবেশকে হুমকিতে ফেলে।

স্থানীয় লোকজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার  সতর্ক করার পরও থামেনি বালু দস্যুতা। গ্রামীন জনপদ বিলিনে গ্রামবাসীর নির্ভরযোগ্য অভিযোগের ভিত্তিতে বদরখালী নৌ পুলিশের সহযোগীতায় অভিযান চালান চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোহাং তানবির হোসেন।

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে সোয়া কোটি টাকা মুল্যের ৫ টি ড্রেজার ও বিপুল পরিমান বালু উত্তোলন সামগ্রী জব্দ করেন ম্যাজিষ্ট্রেট। পরে বদরখালী নৌ পুলিশকে জিম্মা দিয়ে নিয়মিত মামলার নির্দেশ দেন।
যথানিয়মে বদরখালী নৌ পুলিশের ইনচার্য এসআই খন্দকার সাঈদ আহমদ বাদী হয়ে  গত ৮ ডিসেম্বর মামলা নং ১১-৫০১/২০২০ দায়ের করেন। যার ধারা ১৫(১) ২০১০ সালের বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন। তৎসঙ্গে আইন অমান্য করে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু লুটের অপরাধে এক কোটি ২৫ লক্ষ টাকা মুল্যের ৫টি ড্রেজার জব্দ করেন।

এ ব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোহাং তানবির হোসেন জানান, বালু দস্যুদের ছাড় নেই। অব্যাহত অভিযান চলবে।

মামলার আসামিরা হচ্ছেন, চকরিয়ার লক্ষারচরের ওবায়দুর রহমানের পুত্র ফজলে রাব্বি মারুফ (৩৫), গোবিন্দপুরের মাহবুব ছোবহানের পুত্র জিসান (২৫), বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নিয়াজুল ইসলাম বাদল মেম্বার (৪৫), মিরেরসরাই, চট্টগ্রামের নিজাম হাজ্বী (৬০), বরইতলী কালা সিকদার পাড়ার আজিম উদ্দিন (৫০) ও বশির আহমদ (৩৫) এবং চকরিয়া বিএমচর ইউপি চেয়ারম্যান এস এম জাহাঙ্গীর আলম চেয়ারম্যান (৪৫) সহ অজ্ঞাত নামা আরো ৩/৪ জনকে আসামী করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: